পুলিশ ফাঁড়ির চাকরি হারালেন সেই রোহিঙ্গা বাবুর্চি

পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সেই রোহিঙ্গা বাবুর্চিকে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছেন ওসি বিমল চন্দ্র ভৌমিক। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ফাঁড়ির রান্নার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

রোববার দৈনিক সমকাল ‘পুলিশের রোহিঙ্গা বাবুর্চি’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে বাবুর্চির দায়িত্বে থাকা সিরাজ নামে ওই রোহিঙ্গাকে বিদায় করে দেন ওসি।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি বিমল চন্দ্র প্রথম দিন ওই বাবুর্চির রোহিঙ্গা পরিচয় অস্বীকার করলেও রোববার তাকে রোহিঙ্গা স্বীকার করে বলেন, ‘তার রান্না খুবই সুস্বাদু ছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে এখানে বাবুর্চির দায়িত্ব পালন করে আসছিল।’

বাবুর্চি সিরাজ জানান, ১০ বছর আগে মিয়ানমার থেকে মা-বাবার সঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকায় আসেন। বর্তমানে জামালপাড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় মা-বোনকে নিয়ে বসবাস করছেন। তার ছোট বোন রমজান বিবি পুলিশ ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী এ জে চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে।

সিরাজ আরও জানান, প্রথমে ক্রসিং পুলিশ ফাঁড়িতে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করলেও পরে মূল বাবুর্চির দায়িত্ব পান। তার বেতন ছিল মাসে ৯ হাজার টাকা।

কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামশুল তাবরীজ জানান, পুলিশের মেসে রোহিঙ্গা বাবুর্চির বিষয়টি তিনি জেনেছেন। উপজেলার শিকলবাহায় যে রোহিঙ্গা বসতি গড়ে উঠেছে তা উচ্ছেদে অচিরেই অভিযান চালানো হবে।

আরও খবর