অনলাইন ডেস্ক • বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন আগামীকাল ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে। এ আইনে পুলিশকে ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
আইনের ১১০ নম্বর ধারায় বলা হয়, পোশাকধারী পুলিশ অফিসারের সামনে কোনো ব্যক্তি ৭২, ৭৩, ৭৫, ৭৭, ৭৯, ৮৪, ৮৬, ৮৯, ৯২ (১), ৯৮ এবং ১০৫ নম্বর ধারার অধীন শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করলে ওই ব্যক্তিকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারবেন।
এ ধারায় উল্লেখিত ৭২ নম্বর ধারায় বলা হয়, রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত মোটরযান চালানো সংক্রান্ত ধারা লঙ্ঘন করলে তিনি ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৭৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার ও প্রদর্শনী বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি সর্বনিম্ন ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন এক লাখ এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৭৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, মোটরযানের ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে বা ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত ফিটনেসের অনুপোযোগী, ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালানো সংক্রান্ত ধারা লঙ্ঘন করলে তিনি ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৭৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, রুট পারমিট ব্যতীত পাবলিক প্লেসে পরিবহন যান ব্যবহার সংক্রান্ত বিধান লঙ্ঘন করলে তিন মাসের কারাদণ্ড বা বিশ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৭৯ নম্বর ধারায় বলা হয়, মোটরযানের বাণিজ্যিক ব্যবহার সংক্রান্ত ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৮৪ নম্বর ধারায় বলা হয়, কর্তৃপক্ষ থেকে নির্ধারিত কোনো মোটরযানের কারিগরি বিনির্দেশ অমান্য সংক্রান্ত বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি সর্বনিম্ন এক বছর এবং সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৮৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, অতিরিক্ত ওজন বহন করে মোটরযান চালানো সংক্রান্ত ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে এক বছর কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৮৯ নম্বর ধারায় বলা হয়, পরিবেশ দূষণকারী, ঝুঁকিপূর্ণ ইত্যাদি মোটরযান চালানোর বিধিনিষেধ সংক্রান্ত ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৯২ (১) নম্বর ধারায় বলা হয়, মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশনাবলী সংক্রান্ত ধারা লঙ্ঘন তিনি করলে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন তিনি।
৯৮ নম্বর ধারায় বলা হয়, ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে যান চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি হলে সংশ্লিষ্ট চালক বা কন্ডাক্টর অথবা সহায়তাকারী তিন বছর কারাদণ্ড বা ৩ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
১০৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালানোর কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত বা নিহত হলে তিনি পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এসব বিধান সব মোটরযানের জন্য প্রযোজ্য। অনান্য যান ছাড়াও মোটরসাইকেল চালকরাও অপরাধ করলে এ আইনের বিধান অনুযায়ী শাস্তি পাবেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-