ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর তা না জানানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সাকিবের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্তই নিক সরকার সাকিবের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
জাহিদ আহসান বলেন, ‘সাকিবের বিষয়ে যে সিদ্ধান্তই নিক আইসিসি, তার পাশে থাকবে সরকার।’
সাকিবের ম্যাচ ফিক্সিং প্রস্তাব আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে না জানানো বিষয়ে আলোচনার জন্য আইসিসিকে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
জানা যায়, সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এ নিয়ে করা তদন্তের শেষ পর্যায়ে আছে তারা। তদন্তপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আইসিসির প্রতিনিধিরা সাকিবের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে সাকিবের এই ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যু নয়ে প্রয়োজনে আইসিসির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’
বিসিবি সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়ে বোর্ড সভাপতি সাকিবকে আশ্বস্ত করেছেন। পুরো ব্যাপারটিতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই সাকিবের পাশে থাকবে বিসিবি।
উল্লেখ্য, প্রায় দুবছর আগে পাওয়া ফিক্সিং প্রস্তাব আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে সাকিব জানায়নি বলে অভিযোগ আইসিসির। প্রস্তাব পাওয়ার পর বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে না জানানোর জন্য ভুলও স্বীকার করেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
ফিক্সিং প্রস্তাব পেলে গোপন করাও অপরাধ। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির দুর্নীতি বিরোধী ধারা অনুযায়ী, কারও কাছ থেকে অনৈতিক কিছুর প্রস্তাব পেলে যত দ্রুত সম্ভব আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হয়। প্রতিটি সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের ক্লাস নিয়ে এ নিয়ম মনে করিয়ে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী, এই ধারা ভঙ্গের শাস্তি হতে পারে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
তবে আকসুর জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করায় সাথে ভুল স্বীকার করায় বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। অবশ্য আইসিসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনও আসেনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-