ডেস্ক রিপোর্ট • ১০ বছর আমার চেহারা ভালো ছিলো কিন্তু এখন খারাপ হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আর সংবাদ মাধ্যমে আমার বিচার চলছে। স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমে যা ছাপা হচ্ছে মানুষ এখন সেটাই বিশ্বাস করবে। আমি যাই বলি না কেনা তা মিথ্যা হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুবলীগের বৈঠক চলাকালে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী টেলিফোনে এসব কথা বলেন। বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বৈঠক থেকে ফোন করেছিলেন। তারা বলেছেন, আমার বিষয়টি নিয়ে নাকি আলোচনাই হয়নি। তাছাড়া আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে যা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
আমি জেনেছি,বৈঠকে কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বা অন্য কিছু নেই। আপনার অনুপস্থিতিতে যুবলীগের বৈঠক চলছে বিষয়টি কিভাবে দেখছেন প্রশ্নে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন,এর আগে আমি প্রেসিডিয়াম বৈঠক ডাকার কথা বলেছি। সেটা ডাকা হয়েছে। আমি উপস্থিত ছিলাম না কারণ আমার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। আমার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। তাই আমি তাদেরকে বলেছি, তোমরা বৈঠক করো। আমি থাকলে আমার বিষয়টি হয়তো আলোচনা হবে না। তাদেরকে আরও বলেছি, বৈঠকে যে আলোচনা হবে তা রেজ্যুলেশন আকারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এ বৈঠকেও আমি নাই একই কারণে। ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আমার বিষয়টি এখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় গেছে। আমার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এরপর হয়তো এনবিআর বিষয়টি দেখবে। যদিও দুদকের ৫০ জনের তালিকায় আমি ছিলাম না। তার মানে কি আমার বিষয়টি দুদকের সঙ্গে ছিলো না। এখন হয়েছে। তাই বলছি, ১০ বছর আমার চেহারা ভালো ছিলো,এখন খারাপ হয়েছে। আমার বিবেক এখন দংশিত হচ্ছে। দুদক বা এনবিআর যদি আমাকে ডাকে তাহলে আমি সেসব ফেইস করার জন্য প্রস্তুত আছি। আপনাকে যে কোন সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বিষয়টি তো বিচার প্রক্রিয়ায় গেছে। এখানে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আসছে কেন। আবার গ্রেপ্তার করতে চাইলে করতেও পারে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-