ভালো নেই প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা

ডেস্ক রিপোর্ট • সাগরের বুকে জেগে ওঠা মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা ভালো নেই। পর্যটন মৌসুমে ৬ মাস পর্যটক আসলে ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করে দ্বীপবাসী। কিন্তু বাকি ৬ মাস আয়-রোজগার না থাকায় চলে অনাহারে-অর্ধাহারে। তাই দ্বীপের অবহেলিত বাসিন্দাদের সরকারি সহায়তার আওতায় আনার দাবি জনপ্রতিনিধিদের। বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক।

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ দ্বীপে ১০ হাজার লোকের বাস। যাদের আয়ের মূল উৎস পর্যটন ও মাছ শিকার। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত জাহাজে সাগর পাড়ি দিয়ে এ দ্বীপে বেড়াতে যায় পর্যটকরা। কিন্তু বর্তমানে পর্যটক না আসায় হাহাকার করছে দ্বীপ। বন্ধ রয়েছে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট ও ভ্যানগাড়ি। আর মাছ শিকারের কথা থাকলেও তা করা যাচ্ছে না ঠিকভাবে। বর্তমানে দ্বীপবাসীর জীবন কাটছে চরম কষ্টে।

দ্বীপবাসী বলছেন, পর্যটক কমে যাওয়ায় এখন আর আগের মতো আয় নেই। আমরা অনেক কষ্টে আছি। এখানে যারা ভ্যান চালায় তারাই শুধু একটু চলতে পারে।

এ অবস্থায় পর্যটন মৌসুম ছাড়া বাকি ৬ মাস দ্বীপের অবহেলিত বাসিন্দাদের সরকারি সহায়তা দেয়ার দাবি জানালেন টেকনাফের সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  নুর আহমেদ। তিনি বলেন, পর্যটন মৌসুম যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন সব বন্ধ হয়ে যায়। সরকার থেকে যদি সহযোগিতা করে তাহলে আমরা কিছু করতে পারব

আর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক  মো. কামাল হোসেন জানালেন, দ্বীপ হিসেবে অবহেলিত এসব বাসিন্দাদের সহায়তার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, ছয় মাস তারা অনেক কষ্টে থাকে। এ সময়ে কীভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায় তা ভেবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।

জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। বছরের নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এখানে ভ্রমণে আসে ১০ লাখের বেশি পর্যটক।

আরও খবর