মিয়ানমারে দুই বছর সাজা ভোগের পর ৪ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে তারা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাজিরপাড়া দিয়ে প্রবেশ করে বলে খবর পাওয়া গেছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পে স্বজনদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। এ ধরনের কারামুক্ত আরো ৬১ জন রোহিঙ্গা অর্থাভাবে রাখাইন রাজধানী সিট্টুয়েতে আটকা পড়েছে বলেও জানা গেছে।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা মেগা ৫ নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার নুরুল আলম ৪ রোহিঙ্গা প্রবেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ঘটনার সময় রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছিল। সে সময় রাখাইনের রাচিডং টাউনশিপের রাজার বিল ইউনিয়নের উপরের পাড়া গ্রাম থেকে অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাস্টার নুরুল আলম রাচিডং টাউনশিপের স্থানীয় প্রভাবশালী। তিনি জানান, গত ১২ অক্টোবর দুই বছর কারাভোগের পর ৪ রোহিঙ্গাকে মুক্তি দেয়া হয় রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিট্রুয়ের আকিয়াব কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে। কিন্তু রাখাইনে তাদের গ্রাম ও আশপাশে কোনো রোহিঙ্গার অবস্থান না থাকায় এই ৪ জন বাংলাদেশের ক্যাম্পে তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে আসে।
অনুপ্রবেশকারী ৪ রোহিঙ্গার মধ্যে কুতুপালং-৫ নং ক্যাম্পের হাবিবুল্লাহর দুই ছেলে হামিদ হোসেন (২৫) ও ইমাম হোসেন (২৮)। অপর দুজনের মধ্যে কুতুপালং-১ ইস্ট ক্যাম্পের মো. শফির ছেলে এনায়েত উল্লাহ (২৭) ও ক্যাম্প-১৩ এর জালাল আহমদের ছেলে ইউসুফ আলী (২২) বলে জানা গেছে। তিনি আরও জানান, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আকিয়াবের কেন্দ্রীয় গারদ থেকে আরো ৬১ জনকে সাজা ভোগের পর মুক্তি দিয়েছে।
তাদের মধ্য রাচিডংয়ের চৌপ্রাং গ্রামের ৪৯ জন ও রাজারবিল গ্রামের ১২ জন। তারা অর্থাভাবে আকিয়াব থেকে মংডু সীমান্তে আসতে পারছে না বলে তিনি জানিয়েছেন। তারা আকিয়াবে অনাহারে রয়েছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির কাছে এসব রোহিঙ্গাকে পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন বলে ওই রোহিঙ্গা নেতা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যাম্পের জনৈক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের সংবাদ তাদের কাছে নেই। দৈনিক জাগরণ
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-