জাহাঙ্গীর আলম, (ইনানী)
কক্সবাজারের উখিয়ার সমুদ্র উপকূলের অরণ্য ঘেরা চেনছড়ি। ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসনের সময় অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেনছড়ি অরণ্যে আশ্রয় নিয়ে কাটিয়েছেন কয়েকটা দিন।
দীর্ঘ ৫৭ বছর পর বঙ্গবন্ধুর অজ্ঞাতবাসের স্থানটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। বঙ্গবন্ধুর আশ্রয় নেওয়া ওই গ্রামে আটটি চাকমা পরিবারের বসবাস ও রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ওই গ্রামে গেলে সে সময়কার চাকমা নেতা ফেলোরাম রোয়াজা চাকমা বঙ্গবন্ধুকে অতিথি হিসেবে বরণ করে নিয়েছিলেন।
সেই জায়গাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছেন
একটি শহীদ মিনার সহ ফুলের বাগান করার। আর এ কাজ শুরু করেছেন একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, ঠিকাদার নূর মোহাম্মদ কাজ পাওয়ার দুই মাস অতিক্রম হলেও লাগামহীন দুর্নীতি করে ধীরগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে ঘুরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত শহীদ মিনারের কাজে নিম্নমানের ইট বালি কংকর ব্যবহারের প্রমান মিলে।
আর তাদের কাজ ধীরে গতিতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও জনসাধারণ।
নিম্নমানের ইট, লবণাক্ত বালি ব্যবহার করে ঠিকাদার নূর মোহাম্মদ ছোট কাজে বড় দুর্নীতি করছেন বলে বলেন জালিয়াপালং ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন।
লবণাক্ত বালি, নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার নূর মোহাম্মদ মোবাইল ফোনে জানান, ৩৩ লাখ টাকার কাজ সময় তো লাগবে কাজ তো আর এক দুই দিনে হবেনা বলে কথা এড়িয়ে যান তিনি।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মেম্বার বলেন, ইনানীর চেনছড়ি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত শহীদ মিনারের কাজে লবণাক্ত বালি নিম্নমানের কংকর ব্যবহার করছে ঠিকাদার, তাঁর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
সরজমিনে গিয়ে ফেলোরাম চাকমার পরিবারের সাথে কথা হলেই তারা শহীদ মিনারের কাজে লবণাক্ত বালি, নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তোলেন চাকমা পরিবারের সদস্যরা।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামানের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-