গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল :
টেকনাফে ‘গায়েবী’ আগুনে এক ইয়াবা কারবারীর বসতবাড়ী পুড়ে ছাই হয়েছে।
জানা যায়,১৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড হাতিয়ার ঘোনা এলাকায় আব্দুল গফুর প্রকাশ ওলা গফুর’এর বসতবাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়! কে বা কারা এই ঘটনাটি সংঘটিত করেছে?
তার সঠিক স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানা যায় গত ১২ অক্টোবর ভোর রাতে টেকনাফে কর্মরত র্যাব-১৫ সদস্যরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সদর ইউপির হাতিয়ার ঘোনা এলাকার মাদক কারবারে জড়িত গফুরের বাড়ী তল্লাশী করে ৬২ হাজার,৪শত পিস ইয়াবা ও নগদ ৭লক্ষ,৭০ হাজার টাকা,দেশীয় তৈরী একটি অস্ত্র,৩ রাউন্ড গুলি,২টি রাম দা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই অভিযানে গফুরের স্ত্রী ফাতেমাকে আটক করে র্যাব। উক্ত মামলায় ‘ফাতেমা’ এখন কারাগারে। এদিকে ঘটনাটির ২ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর গফুরের বসতঘরটি আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ পুড়ে যাওয়া গফুরের বসত বাড়ীতে মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সু-কৌশলে বসবাস করে আসছে অত্র এলাকার মৌলভী নুরুল ইসলামের পুত্র চিহ্নিত মাদক কারবারী ‘সাদ্দাম’।
তারা আরো জানায় গত ১২ অক্টোবর র্যাবের হাতে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা,অস্ত্র,নগদ টাকার মালিক ও মুলহোতা হচ্ছে মাদক কারবারী সাদ্দাম। ঐ দিন র্যাবের অভিযান চলাকালীন সময়ে সাদ্দাম সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে র্যাবেরর রুজু করা মামলায় চিহ্নি মাদক কারবারী সাদ্দামকে পলাতক আসামী করা হয়েছে।এলাকাবাসীর অভিমত গফুর ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেশী টাকার লোভে পড়ে মাদক কারবারী সাদ্দামকে আশ্রয় দিয়ে মাদক পাচারে সহযোগীতা করত।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজার জার্নালকে জানান,আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিবানোর চেষ্টা করে।
আগুন লাগার রহস্যটি তদন্ত করে জানা যায় পুড়ে যাওয়া বসতবাড়ীটি ইয়াবা কারবারে জড়িত গফুরের এবং ঐ বাড়ীর মধ্যে মাদক কারবারী সাদ্দাম বসবাস করত।
তিনি আরো জানান, মাদক কারবারীদের মধ্যে ইয়াবা লেনদেন, মাদক বিক্রির টাকা বাগবাটোয়ারা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘটিত ঘটনায় প্রতিপক্ষের দেওয়া আগুনে বাড়িটি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-