রামুতে কল্পজাহাজ ভাসানো উৎসবে নারী-পুরুষের মিলনমেলা

সোয়েব সাঈদ,রামু:

কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাঁকখালী নদীতে ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ ভাসানো উৎসব ঘিরে বসেছিলো হাজারো নারী-পুরুষের মিলনমেলা।

রামুতে প্রতিবছর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

রামু বাজারের পূর্ব পার্শ্বের বাঁকখালী নদীতে সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে কল্পজাহাজ ভাসানো উৎসব। এতে ভাসানো হয়েছে ঐতিহ্যবাহী নয়টি কল্পজাহাজ। বাঁশ, কাঠ, বেত এবং রঙিন কাগজের উপর কারুকাজে তৈরি কল্পজাহাজ ভাসানো উৎসবকে ঘিরে বাঁকখালী নদীর দুই তীরে ছিলো উৎসুখ নারী-পুরষের ভীড়।

দুপুরে উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) চাই থোয়াইলা চৌধুরী, এটিএন নিউজ এর প্রধান নির্বাহী মুন্নী সাহা প্রমূখ।

উৎসবস্থলে দেখা গেছে, পাঁচ-ছয়টি নৌকার উপর বসানো হয়েছে এক-একটি কল্পজাহাজ। রঙ-বেরঙের কাগজ আর বাঁশ-কাঠের অর্পূব কারুকাজে তৈরি প্রতিটি জাহাজই নজরকাড়া।

আর আকর্ষণীয় নির্মাণশৈলী আর বৈচিত্র্যে ভরা প্রতিটি জাহাজেই বাজছে বুদ্ধ কীর্তন-বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘের নাম সবাই বলো রে ‘বুদ্ধের মতো এমন দয়াল আর নাইরে’।

আবার কোনো কোনো জাহাজে নানা বাদ্য বাজিয়ে তারা নাচছে আর গাইছে। নদীতে ভাসতে ভাসতে জাহাজগুলো যাচ্ছে নদীর এপার থেকে ওপারে।

এবার ভাসানোর জন্য হাই-টুপি, শ্রীকুল, পূর্ব মেরংলোয়া, জাদী পাড়া, উত্তর মিঠাছড়ি, হাজারীকুল, উত্তর ফতেখারকুল, দ্বীপ শ্রীকুল, পূর্ব রাজারকুলসহ ১০টি কল্পজাহাজ তৈরি করা হলেও মেরংলোয়া গ্রামের জাহাজটি উৎসবস্থলে আনা হয়নি।

অন্যদিকে হাইটুপি গ্রামের জাহাজটিও নদীতে আনা হলেও ভাসানো হচ্ছেনা।

স্থানীয় বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ জানান, গত ৩ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহা বিহারের অধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরের মহাপ্রয়াণে বৌদ্ধ সমাজে এখনো শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। যে কারণে এবার উৎসবের আমেজ কম।

আরও খবর