ডেস্ক রিপোর্ট • বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করেছেন তারই ছেলে কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুর রউফ খান। উপজেলার বারুনিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে গতকাল রোববার বিকেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা কবরের প্রাচীরের ওপর টয়লেটের জন্য নির্মাণ করা প্রাচীর ভেঙে দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার ২০১৭ সালে মারা যান। এরপর তার ১২ শতক জমি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ভাগ করে নেন।
বড় ছেলে আসাদ খান মুনির জানান, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ম মাফিক ভাগাভাগি হলেও নিজের অংশ নিয়ে তার ছোট ভাই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ শুরু থেকেই সংক্ষুব্ধ ছিল। এর জেরে সম্প্রতি সে বাবার কবরের প্রাচীরের ওপর থেকে প্রাচীর তুলে টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু করে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের সবাই বাধা দিলেও রউফ শোনেনি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে- তার পরিবারের সদস্যরা এই তথ্য জানালে রোববার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি কবরের ওপর তোলা টয়লেটের প্রাচীর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে বগুড়ায় কর্মরত কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ খান জানান, জমি-জমা ভাগাভাগির সময় কবরের জায়গাটা তার ভাগে পড়ে। সমস্যা যা হয়েছিল তা স্থানীয় মুরব্বি ও মুক্তিযোদ্ধারা রোববার সন্ধ্যায় সমাধান করে দিয়েছেন। তার বাবার কবর আগের মতোই আছে।
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. ফুয়ারা খাতুন জানান, একজন মুক্তিযোদ্ধা তাকে এ বিষয়ে ফোনে জানিয়েছিলেন। পরে তিনি কবরের ওপর নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-