হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, সোনাইছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ সোমবার। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ বলেন- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসন যাবতিয় প্রস্তুতি নিয়েছে। তিন ইউনিয়নে দশ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও তিন জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চার প্লাটুন বিজিবি, পুলিশির নয়টি দল, র্যাবের ছয়টি দল ও পর্যাপ্ত আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি ভোট চলাকালিন সময়ে বহিরাগত ঠেকাতে পুলিশের বারটি তল্লাশিচৌকি কাজ করবে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ১২৩। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৫ হাজার ৪৬৭ আর পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৬৫৬। ঘুমধুমে মোট ভোটার ৯ হাজার ৩০১। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৪ হাজার ৬১৯ আর পুরুষ ভোটার ৪হাজার ৬৮২। সোনাইছড়িতে মোট ভোটার ৩ হাজার। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১ হাজার ৭২৩ এবং পুরুষ ভোটার ১হাজার ৭৭৫।
ভোটাররা বলছেন- বিএনপির কোন দলীয় প্রার্থী না থাকায় লড়াইটা আওয়ামী লীগের মধ্যেই হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তসলিম ইকবাল চৌধুরী (নৌকা) ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আবছার (আনারস) চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। এ ইউনিয়নে সদস্যপদে ১১ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষ প্রার্থী রয়েছেন।
সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান বাহান মারমা (আনারস) ও সাধারণ সম্পাদক এ্যানিং মারমা (নৌকা) চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা সম্পর্কে দাদা-নাতি। এ্যানিং মারমা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। সেখান সদস্য পদে ৭ জন নারী ও ২৫ জন পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঘুমধুম ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ (নৌকা) বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদ আহমদ (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র সালেহ আহমদ (আনারস) চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে সদস্যপদের ১০ জন নারী ও ৩৫ জন পুরুষ সদস্য রয়েছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীর বলেন, ‘ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া তিনি পেয়েছেন। জয়ের ব্যাপারে তাই শতভাগ আশাবাদী।’ তসলিম ইকবাল চৌধুরী ভোটারদের কেন্দ্র গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছার বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হলে বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা গ্রামের ভোটার নূর হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীরা তো ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোটের পর আর খবর থাকে না। তাই দেখেশুনে ভোট দেব, যাঁকে ভোটের পরেও পাব।’
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিউল্লাহ বলেন- বৃহৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দলের প্রার্থীর জয় ছাড়া বিকল্প উপায় নেই। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃড় পদক্ষেপের জন্য সরকার তথা আওয়ামী লীগের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্তা বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন শফিউল্লাহ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-