ডেস্ক রিপোর্ট •
কক্সবাজারের উখিয়ায় চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডার ঘটনার ১৩ দিনে কোন কুল-কিনারায় পৌছাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তবে উক্ত এলাকায় সন্দেহজনক আচরণ করায় এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা।
বিষয়টি হত্যাকান্ডে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার পর আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেসাবাদ শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উখিয়া থানার এস আই নিজাম উদ্দিন।
উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্বরত্না গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়া’র নিকটাত্নীয় কালু বড়ুয়া জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে রিক্সায় যাত্রী নেওয়ার কথা বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করে। পরে তার গতিবিধি সন্দেহ হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার পরিচয় জানতে চাওয়া হলে নিজেকে কখনো রত্নাপালং, কখনো ডিগলিয়াপালং, কখনো সিকদার বিলের হামিদুর রহমানের ছেলে আকতার হোছন এবং পেশায় একজন রিক্সাচালক বলে দাবী করে। স্থানীয়দের জিজ্ঞেসাবাদে শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি তাকে যাত্রী নেয়ার জন্য পাঠিয়েছে বললেও শাহ আলমের ব্যাপারে কোন কিছু স্পষ্ট করে বলতে পারেনি। এতে তার আচরনে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
অপরদিকে, পার্শ্ববর্তী হ্যাপী বড়ুয়া জানান, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ডের ৪/৫ দিন পূর্বে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ লোকটি বাড়িতে এসে রিক্সায় যাত্রী নেওয়ার কথা বলে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দ্রুত সটকে পড়ে।
রত্নাপালং এলাকার মেম্বার মোক্তার আহমদ ধৃত ব্যক্তি উক্ত এলাকা থেকে বেশ ক’টি মোবাইল চুরির অভিযোগ রয়েছে বলে দাবী করেন এবং কথা বার্তা অসংলগ্ন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্বরত্না গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার বাড়িতে মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে সহ চারজনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার ১৩দিন গত হলেও হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেনি প্রশাসন। তবে জড়িতদের সনাক্ত করতে একাধিক ইন্টেলিজেন্স তদন্ত টীম মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবী করেন প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-