টেকনাফের চাঞ্চল্যকর দেলোয়ার হত্যা মামলা থেকে মূল আসামীদের বাদ’ শিরোনামে

মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ

গত ৬ অক্টোবর কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইনে ‘টেকনাফের চাঞ্চল্যকর দেলোয়ার হত্যা মামলা থেকে মূল আসামীদের বাদ’ শীরোনামে সংবাদ সম্মেলনটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উল্লেখিত সংবাদ সম্মেলনের সাথে বাস্তবতার তেমন মিল নেই। সংবাদ সম্মেলনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোতি।

এ বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে নুরুল ইসলাম মেম্বারের পরিবারের সদস্যরা। মুল কথা হলো- প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয় উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার পরিবারের সদস্যদের দুরতম সম্পর্কত নেই। অথচ উক্ত মামলায় নুরুল ইসলাম মেম্বারের বৃদ্ধা স্ত্রী পয়ষট্টি বছর বয়স্ক ছকিনা খাতুনকে পর্যন্ত আসামী করা হয়েছে। নুরুল ইসলাম মেম্বারের বড় ছেলে দিদারুল আলম চট্টগ্রামে একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকুরী করে এবং সপরিবারে চট্টগ্রামেই বসবাস করে। অথচ তাকেও সেখানে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার সময় ও দিনে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত তার অফিসে উপস্থিতি সংখ্যা যাবতীয় কাগজপত্র ও মোবাইল ট্রেকিং এ তার অবস্থান সংক্রান্ত ডকুমেন্টস সমূহ যাচ্ছাই আদালতে উপস্থাপন করা হলে মহামান্য আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাকে জামিন প্রদান করেন এবং তিনি অদ্যবধি জামিনে আছেন। নুরুল ইসলাম মেম্বারের ছোট ছেলে রাশেদ ও আরিফ উক্ত মামলায় পাশে অবস্থিত ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থিত তাদের সারের দোকানেই কর্মরত ছিল। ঘটনার পর উক্ত দোকান বন্ধ করা হয়েছিল। অথচ তাদেরকেও অত্র মামলায় আসামী করা হয়েছিল।

এ থেকে বুঝা যায় নুরুল ইসলাম মেম্বারের পরিবারের ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস করে দেয়া, এলাকাছাড়া করে সম্পত্তি দখলের হীন উদ্দেশ্য চিরতার্থ করার লক্ষ্যেই উক্ত পরিবারের সকল সদস্যকে আসামী করা হয়েছিল।

উক্ত মামলায় আবুল বশরের অপকর্মের প্রতিবাদকারী ও বিরোধীতাকারী ৩০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল যাতে তারা ৭৫ বছরের বয়ষ্ক বৃদ্ধ ৬৫ বছরের বয়স্ক মহিলা, স্ত্রীলোক, প্রবাসী, দিনমজুর সহ অনেককেই এই মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাসানো হয়েছে যা ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

দেলোয়ার হোসেন ডাইলার পরিবারের সংবাদ সম্মেলন না করে আবুল বশরের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করাতে বুঝা যায় তারা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের পায়তারা করছে। আবুল বশর বাহিনীর বিরুদীপক্ষের লোকদের মামলায় জড়ানোর কু-মতলবে আবুল বশর নির্দেশে ওতার ছেলে ইব্রাহিম, মিজান ও সাইফুলের পরিকল্পনায় আবুল বশরের ছেলে মিজানই প্রকৃতপক্ষে দেলোয়ার হোসেন ডাইলাকে অন্ধকারে ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। যা এলাকার মানুষ জানে। কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কেউ সরাসরি প্রতিবাদ করতে পারে না বলেই উক্তরূপ ষড়যন্ত্রমূলক মামলা তারা দায়ের করে স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করার চেষ্টা করছে। উক্তরূপ পরিকল্পিত ঘটনা অতীতে তারা আরও সংগঠনের চেষ্টা করেছিল। আবুল বশরের বিরোধী পক্ষের লোকদের মামলায় জড়ানোর হীন উদ্দেশ্যে আবুল বশরের মেয়ের শ্বশুর ও তার আপন মামাতো ভাই নজির আহামদকে এশার নামাজ পড়ে ঘরে যাওয়ার পথে অন্ধকারে আবুল বশরের কুপরিকল্পনায় তার ছেলে মিজান ও ইব্রাহিম গুলি করে গুরুতর আহত করেছিল এবং মামলা দায়েরের ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু নজির আহামদ হামলাকারী মিজান ও ইব্রাহিমকে চিনে ফেলায় সে মিথ্যা মামলা করতে রাজি হয়নি। ঘটনাটি এলাকার সবাই জানে। ডাইলা হত্যাকান্ডটিও আবুল বশরের কু-পরিকল্পনায় সংঘটিত একটি ঘটনা।

২০১৬ইং সালে মহেশখালীয়া পাড়ায় সম্পত্তি নিয়ে মামাত ভাইদের মারামারিতে রশিদ আলম নিহত হওয়ার ঘটনায় ও আবুল বশর নুরুল ইসলাম মেম্বারের পরিবারের সকল সদস্যদের জড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল যা এলাকার মানুষ সবাই জানে। আবুল বশর বাহিনীর উক্তরূপ ঘৃণ্য কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে এলাকার মানুষ ভয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করত না, আবুল বশর বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ইয়াবা, ছিনতাই, মারামারি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তাদের এইসব ঘৃণ্য কার্যকলাপ থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি ভঙ্গি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য তারা একের পর এক মিথ্যা ষড়যন্ত্র মামলা করে যাচ্ছে। উক্ত আবুল বশর বাহিনীর সদস্যরা ও আবুল বশরের ছেলেরা আব্দুল হামিদ মেম্বারের পা কেটে নিয়ে তাকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়। নুরুল ইসলাম মেম্বারের ঘরে ঢুকে তার পায়ে গুলি করে তাকে গুরুতর জখম করে। ডাইলা হত্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়ে নুরুল ইসলাম মেম্বারের পরিবারকে এলাকা ছাড়া করে তার ঘরবাড়ি লুটপাট করে ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র ডাকাত করে নিয়ে যায়। এরপরে ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ ঘরে ভস্মিভুত করে দেয়।

উক্ত ঘটনার প্রত্যেকটিতে আবুল বশরের ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। অথচ তারা বিরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা মানুষকে মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বর্তমানে চাদাবাজি করছে। ডাইলা হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়ার পর অর্থাৎ ২০১৭ইং সাল থেকেই নুরুল ইসলাম মেম্বারের পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রাম শহর ও কক্সবাজার শহরে বসবাস করে আসছে। তাদের নিজ বসতবাড়ীটি পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। নুরুল ইসলাম মেম্বারের বড় মেয়ে সমজিদার ঘরটি লুটপাট করে ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়া হয়েছে। তাই তাদের সেখানে বসবাসের কোন ঘর নেই। অথচ উক্ত পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে দিয়ে যাচ্ছে এই আবুল বশরের পরিবার যাতে তারা টেকনাফ এসে নিজ বসত ভিটায় বসবাস করতে না পারে। আবুল বশর বাহিনীর সদস্যরা নুরুল ইসলাম মেম্বারের ফিশিং বোট, মুরগীর ফার্ম, মাছের প্রজেক্ট বন্ধ করে দিয়েছে। তারা উক্তরূপ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে অথচ একটির পর একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে।

আবুল বশর হত্যাকান্ড ও মিজানের উপর হামলার ঘটনার সাথে নুরুল ইসলাম মেম্বারের পরিবারের সদস্যদের দুরতম সম্পর্কও নেই। কারণ তারা ২০১৭ইং সাল থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বসবাস করে আসছে। শুধুমাত্র পুর্বশত্রুতার জেরধরে এবং নুরুল ইসলাম মেম্বারের সম্পত্তি দখলে নেয়ার হীন চক্রান্তে তারা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে যাতে তারা এলাকায় আসতে না পারে। তাদের উক্তরূপ ঘৃণ্য কর্মকান্ড থেকে রেহাই পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলন নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
নুরুল ইসলাম মেম্বারের পরিবারের সদস্যরা।

আরও খবর