ডেস্ক রিপোর্ট : ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের এক নেতার বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যে বাড়ি থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটি তার আত্মীয়ের। বাড়িটির মালিকের নাম মনির চৌধুরী।
জানা গেছে, চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামটি সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে পালিয়ে যেতে সম্রাট তার আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গভীর রাতে ওই এলাকায় একটি বাড়ি র্যাব ঘিরে রাখে। পরে সম্রাটকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন উঠেছে- যে বাড়িতে সম্রাট আশ্রয় নিয়েছিলেন সেই মনির চৌধুরী রাজনৈতিক পরিচয় কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের এক বাসিন্দা যুগান্তরকে বলেন, মনির চৌধুরী (৫৫) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শিবিরের সাথী ছিলেন বলেও জানান ওই ব্যক্তি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ফেনী জামায়াতের প্রশাসনিক বিভাগের দায়িত্বে থাকা মনির ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের মেয়র হাজি আলাউদ্দিনের ভগ্নিপতি। আর আলাউদ্দিন স্টারলাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
মনির চৌধুরীর পরিচয় সম্পর্কে আলকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম ফারুক স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের জনৈক মুনির চৌধুরীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন সম্রাট।’
তিনি আরও বলেন, ‘একসময় মুনির ছাত্রশিবির করতেন। এখন তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করছেন। এলাকায় তিনি জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচিত।’
সম্রাটের গ্রেফতার প্রসঙ্গে গোলাম ফারুক জানান, গভীর রাতে র্যাব সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে রাখেন। পরে তাকে সেখান থেকে আটক করা হয়
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-