মিয়ানমার থেকে আসা ১১০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ টেকনাফে

আবদুর রহমান •

কক্সবাজারে টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে দ্বিতীয় দফার প্রায় ৫০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজবোঝাই কয়েকটি জাহাজ। এর আগে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) প্রথম দফায় আসা ৫৬৯ দশমিক ৭৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এরপর সেই পেয়াঁজ ৩৬টি ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সররাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আরও কয়েক হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ কয়েক দিনের মধ্যে বন্দরে এসে পৌঁছাবে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। মঙ্গলবার একদিনে ৫৬৯ দশমিক ৭৩০ মেট্রিক টন পেয়াঁজ খালাস করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানির দিকে নজর দেওয়ায় রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে। তবে দেশের স্বার্থে সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’

তবে আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে ঠিকমতো না ছাড়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে প্রতিদিন শত শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ এলেও বাজারে এখনও দাম কমেনি। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ বাজারে না ছেড়ে গুদামজাত করছে।’

এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বন্দরে পর্যাপ্ত শ্রমিক ও অবকাঠামোর অভাবে আমদাদি করা সব পেঁয়াজ সময়মতো খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছেন।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি করা প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম মিয়ানমারে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। এছাড়া পরিবহন, শ্রমিকসহ আরও ৫ থেকে ৬ টাকার মতো খরচ। এর মধ্যে যাতায়াতে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

উল্লেখ্য, ভারতে মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় রবিবার। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই সেদেশে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পরবতী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবেন বলে জানা গেছে।  

আরও খবর