শাহীন মাহমুদ রাসেল •
ওষুধ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা এলেও খোদ কক্সবাজারের কোন ফার্মেসিতেই বিক্রি বন্ধ হয়নি ক্যান্সারের জীবাণুবাহী গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিটিডিন। এ অবস্থায় দ্রুততম সময়ে সারা দেশের বাজার থেকে ওষুধটি তুলে নেয়াকে কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, গ্রামাঞ্চলে অহরহই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক কম দামের এ ওষুধটি। তাই দীর্ঘদিন রেনিটিডিনে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে সবার আগে। বিকল্প ওষুধ দেয়ার পাশাপাশি ফার্মেসিতে রেনিটিডিনের বিক্রি বন্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানসহ একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রমাণ মেলায় বহুল ব্যবহৃত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিটিডিনের ওষুধের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন। বিশেষ করে রেনিটিডিনে ক্যান্সারের উপাদানের খবর শুনে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। তবে দেশের সিংহভাগ ক্রেতাই জানেন না এ খবর।
এদিকে, দু-একটি ফার্মেসি নিষিদ্ধ ওষুধ প্যাকেটবন্দী করলেও উদাসীন অধিকাংশ বিক্রেতারা। ওষুধ মালিক সমিতির কাছে সুনির্দিষ্টভাবে আদেশ পাবার পরই রেনিটিডিন বিক্রি বন্ধ করবেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতার বলছেন, দাম কম হওয়ায় রেনিটিডিন বিক্রির হার সবচেয়ে বেশি গ্রামাঞ্চলে। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ জেলার সব ফার্মাসি থেকে নিষিদ্ধ ওষুধগুলো উঠিয়ে নেয়ায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অভিযুক্ত ভারতের সারাকা ল্যাবরেটরিজ ও ডক্টর রেড্ডি ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে কাঁচামাল নিয়ে যারা রেনিটিডিন তৈরি করছেন সেগুলোও খতিয়ে দেখার কথা বলছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। অন্যান্য কাঁচামালের উৎস আছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা করবো। ল্যাবে টেস্ট করার পরে আমরা বসবো। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে রেনিটিডিনের বিক্রি বন্ধে শিগগিরই ওষুধ প্রশাসনকে তারিখ বেধে দেয়ার আহ্বান জানান ওষুধ সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল। তারা বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনগণকে জানাতে হবে। তারা যেন এটা না কিনে, সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের নির্দেশনা দিতে হবে যেন তারা প্রেসক্রিপশনে না লিখে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-