ডেস্ক রিপোর্ট • পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরে যুবলীগ নেত্রী মমতাজ বেগম (সাথী) সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে জনতা কর্তৃক আটকের পর থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। জানা গেছে, কথিত নারী সাংবাদিক মমতাজ বেগম (সাথী) ঈযধহহবষ ৬৯ ঞা-এর নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা হিসেবে মাস খানেক আগে দায়িত্ব পেয়েছেন। সাংবাদিক পরিচয়ে তিনি জেলার বিভিন্ন বেকারি, মিষ্টান্ন দোকান ও ফ্যাক্টরিতে গিয়ে সঙ্গীয় জাকারিয়া হোসেন (৩০) ক্যামেরাম্যানের সহায়তায় অনিয়মের খবর প্রচারের হুকমি দিয়ে বহু দিন ধরে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুরে মিষ্টান্ন দোকানে গিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় তাদের ধরে পুলিশের নিকট উত্তেজিত জনতা তুলে দিলে থানা হেফাজতে নেন। পরে পত্নীতলা থানা পুলিশ রহস্যজনক ভাবে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কথিত সাংবাদিক মমতাজ সাথী ও তার সহযোগী ক্যামেরাম্যান জাকারিয়াকে ছেড়ে দেন। জানা যায়, মমতাজ বেগম (সাথী) জেলার রাণীনগর উপজেলা মহিলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলার দাউদপুর গ্রামের আশিকুজ্জামান (বিপ্লব) এর স্ত্রী এবং রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মমতাজ বেগমের স্বামী বর্তমানে প্রায় দুই বৎসর ধরে অস্ত্র ও মাদক মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
বিশেষ একটি সূত্রে জানা যায়, মমতাজের বিরুদ্ধেও একাধিক মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অর্থ আদায়ের অভিযোগে কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য আরো একটি সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রমাণ থাকায় রাণীনগর প্রেস ক্লাব হতে মমতাজ বেগমকে গত ২০১৬ সালে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বর্তমানে মমতাজ ও তার সহযোগী ক্যামেরা পারসন নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র জাকারিয়া হোসেন পারনওগাঁ শহরের আবাসিক হোটেলের পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন।
পত্নীতলা থানার ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী জানান, সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতা কর্তৃক মমতাজ বেগম ও তাঁর ক্যামেরা পারসন জাকারিয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরে ভুক্তভোগীরা আনীত চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলা না করায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-