গিয়াস উদ্দিন ভুলু• কক্সবাজার জার্নাল :
টেকনাফের হ্নীলা নাফনদী সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচারকারীদের সাথে বিজিবির গোলাগুলি সংঘটিত হয়েছে। এই ঘটনায় ইয়াবা পাচারে জড়িত ২ ব্যাক্তি নিহত ও বিজিবির ৩ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমান ইয়াবা,অস্ত্র ও গুলি।
বিজিবির তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা নাফনদী জালিয়াপাড়া সীমান্ত এলাকায় বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ৪/৫ জন ব্যাক্তিকে একটি হস্ত চালিত নৌকা নিয়ে উপকুলে প্রবেশ করতে দেখে নৌকাটি থামানোর জন্য বিজিবি তাদেরকে সংকেত দিলে পাচারকারীরা বিজিবির সংকেত না মেনে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর বিজিবিও তাদের ধাওয়া করে একপর্যায়ে মাদক পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে বিজিবির তিন সদস্য গুরুতর আহত হয়। এরপর আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়।
কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলে ঘটনাস্থলে ২জন ব্যাক্তিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে পৌঁছার পর ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে।
বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হলেন, মিয়ানমারের মংডুর নাককুড়ার বুড়াসিকদার এলাকার দীল মোহাম্মদের ছেলে দুস্ত মোহাম্মদ (১৮) ও একই গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে দীল মোহাম্মদ (১৭)।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা মুল্যমানের ৭০ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরী ১টি লম্বা বন্দুক,২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
সংঘটিত এই ঘটনার সত্যতা কক্সবাজার জার্নালকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ফয়সাল হাসান খান।
তিনি বলেন, টেকনাফ সীমান্ত উপকুল ব্যবহার করে মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীরা ফের সক্রিয় হয়ে তাদের অপকর্ম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে।
তবে সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য সীমান্ত প্রহরী আমাদের বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি যে সমস্ত অপরাধীরা এখনো মাদক পাচারে জড়িত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওয়তাই এনে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য বিজিবি সদস্যদের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-