ডেস্ক রিপোর্ট • ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গার অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের সাবেক ৩০ জন কর্মীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের সবাই ইসির আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিস (আইডিইএ) প্রকল্পে বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন। তাদের কয়েকজনকে চাকরিচ্যুতও করা হয়েছে। অন্যদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে চাকরি থেকে অবসরে গেছেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ সংক্রান্ত কাজে এই ৩০জনকে নিয়োগ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
ইসির উপ-সচিব ও আইডিএ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. নুরুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব উপজেলা/থানা, জেলা, সিনিয়র জেলা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। ইসির চিঠিতে বর্তমানে মাঠপর্যায়ে কোনও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কালো তালিকাভুক্ত ৩০ কর্মী হলেন সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মুন্সি সানজিদ বিন একলিম স্বাধীন, এস এম রকিবুজ্জামান নিয়ন, খান মো. ওবায়দুল্লাহ, আবদুল্লাহ আল মারুফ, সাদেক হোসাইন ও জাকির হোসাইন, সাবেক টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ ইয়াসির আরাফাত, রফিকুল ইসলাম, ইকবাল হোসাইন ও আসিফ ইবনে আশরাফ, সাবেক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আবু বকর সিদ্দিক, মারজিয়া আক্তার লিজা, শেখ সেলিম শান্ত, মো. সোলায়মান, জামাল উদ্দিন, সাবেদুল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, জাকির হোসেন, বাবুল আহমেদ, আবদুল জলিল মিয়া, ইকবাল হোসেন, রবিউল করিম, সুব্রত কুমার বিশ্বাস, সুমন দেব, ইউসুফ আলী চৌধুরী, ইকবাল আহমেদ, তারিক আজিজ, মোস্তাফা ফারুক ও সুতপা রানী এবং সাবেক মেসেঞ্জার আশিকুল ইসলাম।
এর আগে, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা শুদ্ধি অভিযানে নেমেছি। যে পর্যায়ের, যে প্রতিষ্ঠানের লোকই এর সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। প্রয়োজন মনে করলে আমরা কাউন্টার টেরোরিজম, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেবো।’ওই সময় মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ইসির এই প্রকল্প থেকে চাকুরিচ্যুতদের ভোটার তালিকা হালনাগাদে যুক্ত না করার কথাও জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-