বেপরোয়া রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা: ক্যাম্পে ডাকাতি,টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট

গিয়াস উদ্দিন ভুলু • কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ কয়েকটি ঘরে গণহারে ডাকাতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায় একদল অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে টেকনাফ উপজেলার আওয়তাধিন হ্নীলা ইউনিয়ন লেদা আলীখালি রোহিঙ্গা বস্তির ১০টি ঘর থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে অসহায় রোহিঙ্গারা।

পুলিশ ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর রাত আড়াই টার দিকে মুখোশধারী একদল অস্ত্রধারী ডাকাত টেকনাফের আলীখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-নাইন নামক এলাকার ১০টি ঘরে হামলা চালায়। প্রতি ঘরে ৪ জন করে ঢুকে পরে। এতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এতে চলে যাওয়ার সময় গুলি বর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পাহাড়ারে দিকে ঢুকে পরে। তাদের পরনে বেশির ভাগই লুঙ্গি ও গেঞ্জি ছিল। তবে হতাহত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি।

সূত্রে জানা যায়, ডাকাতির শিকার পরিবারগুলো হলেন-টেকনাফের লেদা আলীখালির রোহিঙ্গা বস্তির বি-৯ এর বাসিন্দা নুর হোসেন, আব্দুর রহমান,জাকির হোসেন, সায়রা খাতুন,মো. কাসিম, মো.সিরাজুল,রফিক, মো. ইসমাইল, ইমান ও গুড়া মিয়া।

সংঘটিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ মনির বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু সেখানে পৌছানোর পর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে ‘রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সদস্যরা’ উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে।
এই বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরাজ করছে আতংক। কারণ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অপকর্ম দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন কোন দিন নেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে ছোট,বড় অপরাধ সংঘটিত হচ্ছেনা।

স্থানীয়দের দাবী যত দ্রুত সম্ভব ডাকাতি,খুন,অপহরণ ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের যৌথ-অভিযান পরিচালনা করার মাধ্যমে আইনের আওয়তাই নিয়ে না আসলে এমন একদিন আসবে অত্র এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

আরও খবর