গিয়াস উদ্দিন ভুলু • কক্সবাজার জার্নাল :
টেকনাফ সীমান্ত পথ ও বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে এখনো মিয়ানমার থেকে এখনো পাচার হয়ে আসছে বস্তা বস্তা মাদক!
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়,বর্তমানে মাদক পাচারে সক্রিয় ভাবে জড়িত এবং ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে রোহিঙ্গারা। এদিকে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও কারবারীদের নির্মুল করার জন্য ধারাবাহিক ভাবে চলছে সরকার ঘোষিত মাদক বিরোধী চলমান যুদ্ধ। এরপরও টেকনাফে দায়িত্বরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে মাদক পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মরন নেশা ইয়াবা পাচার অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে তাদের সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য সদা প্রস্তুত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যরা।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন দক্ষিন বঙ্গোপসাগর এলাকায় টেকনাফ টেকনাফ কোষ্টগার্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তা লেঃ কমাঃ সোহেল রানার নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান যায়। এরপর গভীর সাগরে একটি কাঠের বোট থেকে ২ লক্ষ ইয়াবাসহ ৮ জন মাদক পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তারা সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা। আটককৃত আসামীরা হচ্ছে,মৃত সিদ্দার আলীর পুত্র মোঃ দইলা(২০),
নুর আহাম্মদের পুত্র মোঃ রবি আলম(১৭), আব্দুল হাফেজের পুত্র মোঃ আলম(২৫),মোঃ করিমের পুত্র মোঃশফিকুল (১৮), মৃত মনু পুত্র মোঃ নুর (১৮), নুরুল হাকিমের পুত্র মোঃনুর আলম(৩০), মৃত লাল মিয়ার পুত্র আলী আজমদ(২০), আবু সুফিয়ানের পুত্র নুরুল আমীন(৩৫)। তারা সবাই মিয়ানমার আকিয়াব এলাকার।
এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেঃ সোহেল রানা।
তিনি জানান, উদ্ধারকৃত এই ইয়াবা গুলোর সাথে আর কোন অপরাধী জড়িত আছে কিনা তার আসল রহস্য বের করার জন্য তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আটক ৮ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-