ডেস্ক রিপোর্ট •
উখিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূইয়ার বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পাননি কলেজ পরিচালনা কমিটি। তাই প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূইয়ার বিরুদ্ধে কথিত অভিযোগের বিষয়ে কোন তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি বলেছেন, উখিয়া ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। একই কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম বলেছেন-আমি অসুস্থ। তবে প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কথা শুনেছি। লিখিত কোন অভিযোগ না পাওয়ায় আমরা তাঁর বিরুদ্ধে কোন এ্যকশানে যেতে পারছিনা।
নুরুল মাসুদ ভূইয়া প্রায় ২ বছর আগে উখিয়া ডিগ্রি কলেজে যোগদান করেন বলে তিনি জানান। উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অনার্সের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূইয়া গত ২৫ আগষ্ট উখিয়া মধুরছড়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প এক্সটেনশন-৪ এর সামনের মাঠে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশে যোগদান ও মাষ্টার মুহিব উল্লাহ’র রোহিঙ্গা শরনার্থী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম সিবিএন-কে একথা বলেছেন।
মাষ্টার মুহিব উল্লাহ’র নেতৃত্বাধীন আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ এন্ড হিউমিনিটি রাইটার্স (এআরএসপিএইচ-ARSPH) নামক রোহিঙ্গা শরনার্থী সংগঠনটি’র সাধারণ সম্পাদক হিসাবে রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশে যোগদানের বিষয়টি প্রশাসনিক তদন্তে উঠে আসে। যে সংগঠনটির সভাপতি রোহিঙ্গা শরনার্থী নেতা মাস্টার মুহিব উল্লাহ।
এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের সিকদার বিল গ্রামের আবদুল করিম ভূইয়ার পুত্র ও উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতির অনার্সের প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-রোহিঙ্গা সংগঠন ARSPH এর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। ২৫ আগষ্ট রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশের দোয়া মাহফিলে শরীক হওয়ার জন্য ARSPH এর প্যাডে সংগঠনটির সভাপতি মাস্টার মুহিব উল্লাহ তাঁর কাছে আমন্ত্রণ পত্র পাঠালে তিনি এ সমাবেশে যোগ দেন। এ আমন্ত্রণ পত্র তিনি উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামানকেও দেখিয়েছেন বলে জানান।
তিনি আরো বলেছেন, মানবাধিকার সোসাইটির উখিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। সে হিসাবে তিনি ২৫ আগষ্টের রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশে যোগ দেন এবং সমাবেশের আয়োজকেরা তাঁকে সমাবেশের মঞ্চের প্রথম সারিতে মাস্টার মুহিব উল্লাহ’র পাশে বসার ব্যবস্থা করে দেন। তবে তিনি ARSPH-এর সাধারণ সম্পাদক বলে তদন্তে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে একটি সরকারি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষক হয়ে প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূইয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশে যোগদান ও ARSPH-এর মতো রোহিঙ্গা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা চাকুরী বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্গন ও ফৌজদারি অপরাধ বলে গন্য করা হয়েছে।
প্রভাষক নুরুল মাসুদ ভূইয়া যে মানবাধিকার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, সে মানবাধিকার সোসাইটির উখিয়া উপজেলার সভপতি জাফর উল্লাহ চৌধুরী বলে তিনি জানান। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স-মার্স্টাস করেছেন।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশের বিষয়ে প্রাথমিক এই তদন্ত প্রতিবেদনটি উপজেলা প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন হয়ে দেশের নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে। এ তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রিলিমিনারী এ্যাকশন শুরু হয়েছে। এ প্রতিবেদনের আবার অধিকতর তদন্তও শুরু হয়েছে।
/সিবিএন
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-