সাইফুল ইসলাম • কক্সবাজার জার্নাল
কক্সবাজারে শুক্রবার থেকে টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কাদাময় শহরে চলাচলে দূর্ভোগ বেড়েছে। ড্রেনের পানি বসতবাড়িতে ঢুকে পড়ছে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট। কয়েক ফুট পানির নীচে তলিয়ে গিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে অনেক সড়ক উপ-সড়ক
এতে কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা সড়ক যোগাযোগ ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। ফলে অনেক স্থানে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কেও মারাত্মক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একই সাথে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া গেছে। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ বিরাজ করছে। লঘুচাপের প্রভাবে টানা প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আরো দুয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, টানা চারদিনের বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকার চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ করে পাহাড়ি ঢলের রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভঙ্গুর সড়কগুলো আরো ভঙ্গুর হয়ে বেহাল দশায় পরিণত হচ্ছে। এর মধ্যে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে।
শহরের প্রধান সড়কের খুরুশ্কুল রাস্তার মাথা সংলগ্ন স্থানে মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গর্ত হয়ে বৃষ্টির পানিতে পুকুরে পরিণত হয়েছে। একই সাথে বার্মিজসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে মারাত্মক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একই সাথে জলাবদ্ধতাও বিরাজ করছে শহরে। শহরের বড়বাজার, বাহারছড়ার কিছু এলাকাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধা বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে মহেশখালীর প্রধান সড়ক গোরকঘাটা-জনতা বাজার সড়কটি। টানা বৃষ্টি সড়কটি এখন যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। এভাবে টানা বৃষ্টিতে জেলার আরো কয়েকটি এলাকায় সড়কের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলার পাহাড়ি এলাকা গুলোতে পাহাড় ধসের ব্যাপক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার টেকনাফে পাহাড় ধসের দুই শিশুর মর্মান্তিক প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০জন। এভাবে আরো বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ছে খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-