জাগো নিউজ •
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনায় এরই মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফ এলাকায় মোবাইলের নতুন সিম বিক্রি বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টার জন্য থ্রিজি এবং ফোরজি সেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প এলাকাগুলোতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বিটিআরসি নির্দেশনা পাঠিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের কাছে। যে কারণে আগামীকাল শনিবার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প এলাকা থাকবে নেটওয়ার্কের বাইরে।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প এলাকায় ব্যবহার করা সিমের সংখ্যা ৮ থেকে ৯ লাখ। নতুন সিম বন্ধ করে দেয়া হলেও এ ৮-৯ লাখ সিম বন্ধের উপায় খুঁজতে শুরু করেছে বিটিআরসি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে কক্সবাজার প্রশাসন এবং পুলিশের প্রত্যক্ষ সহায়তা চাওয়া হয়েছে বিটিআরসির পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি সূত্র।
বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে রাখতে আগে থেকেই কাজ করে আসছিল সরকার। উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কয়েক দফা নির্দেশনাও দেয়া হয়। তবে ওইসব নির্দেশনা তেমন কাজে আসেনি। যে কারণে এখন পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নেয়ার কথা ভাবছে বিটিআরসি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মোবাইল সেবা না দেয়ার জন্য নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় এগোচ্ছে বিটিআরসি।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা শুরু করে রোহিঙ্গারা। দেশে এখন ছয়টি ক্যাম্প মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। কক্সবাজারের বালুখালী ও কুতুপালং ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে এবং এদের প্রায় প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন আছে। অনেকে অবৈধ উপায়ে একাধিক সিমও ব্যবহার করছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-