শাহীন মাহমুদ রাসেল :
কক্সবাজারের বাজারগুলোতে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম না বাড়লেও আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশির ভাগ পণ্য। তবে সবজির মধ্যে পটল, ঢেঁড়স, কাঁকরোল, করলা, ঝিঙ্গা, কচুরলতি, চিচিঙ্গার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।
তবে পেঁয়াজের দামে আগুন, ক্ষুব্ধ ভোক্তারা
বাংলাদেশে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যে ক্ষোভ বাড়ছে জনজীবনে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও যেখানে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০-৩৫ টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০-৫৫ টাকা।
পুরানো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডাল, ছোলা, কাঁচামরিচ, চিনি, মাছ ও মাংস। তবে অপরিবতিত রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিপণ্যের দাম। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কক্সবাজারের বড় বাজার, বাহারছড়া বাজার, উপজেলা বাজার, রামু বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই মিলেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের শেষ দিনে এসে কিছু সবজির দাম গত সপ্তাহ থেকে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। দাম কমা সবজির মধ্যে মান ও বাজার ভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। যা আগে ছিল ৬০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, আগে তা বিক্রি হতো ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, আগে ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, আগে ছিল ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা আগে ছিল ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা আগে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়।
গত সপ্তাহে ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া মুলা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া ঝিঙা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কিনতে হয় ক্রেতাদের। আগের মতই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। প্রতিকেজি পেঁপে ৪০ টাকা, শশা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
দাম অপরিবর্তিত থাকা অন্য সবজির মধ্যে সজনে ডাটা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, লাউ প্রতি পিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ১০ থেকে ২০ টাকা, পুঁই শাক ও ডাটা শাক ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কক্সবাজারের বড় বাজারে প্রতিদিনের কেনাকাটা করেন কাজল উদ্দিন। এক সপ্তাহ আগে তার বাজারের তালিকায় যেসব পণ্য ছিল সেগুলোর দাম কিছুটা অপরিবর্তিত থাকলেও দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। আর সেই দাম দ্বিগুণের সমান। তাই অনেকটাই ক্ষুব্ধ কাজল।
শহরের আরেকটি বাজার কানাইয়া বাজার। সেখানকার একজন ক্রেতা বলছিলেন, কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পাবেন এই আশায় এর আগেও একটি বাজার ঘুরেছেন। তবে সবখানে একই রকম দাম। প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ কেনা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি জানাচ্ছিলেন।
সবজি ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, গত সপ্তাহ থেকে আজকে সবজির দাম কম। তবে বাজারে এখন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ভালো আছে। ফলে দাম কমেছে। তবে সব সবজির দাম কমেনি। যেগুলোর চাহিদা বেশি সেসব সবজির দাম আগের মতই আছে। কিছু দিনের মধ্যে সবজির বাজার স্বাভাবিক হয় যাবে। নতুন সবজি আসলে এমনিতেই দাম কমে যাবে।
তাছাড়া টানা দুই সপ্তাহ দাম কমার পর ডিমের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের মতো ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ৮০-৮৫ টাকায়। মুদি দোকানে ও খুচরা বিক্রেতারা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ৭-৮ টাকায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-