সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেছেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদেরকে সেবা ও সহযোগিতা দিলে তারা ও সমাজ উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারবে। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিবন্ধীদের অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ।
শহরের হিল ডাউন সার্কিট হাউসের পাশে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান অরুণোদয় এর ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও এডিএম মোঃ শাহজাহান আলী।
এতে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন আব্দুল মতিন, সমাজসেবার উপ-পরিচালক প্রীতম কুমার চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের ও মুক্তিযোদ্ধা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সুধীজন অংশ নেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় এগিয়ে এসে এ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান।
অপরদিকে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধীদের একটি স্কুলে বিশেষ প্রয়োজনে ৫০টি হুইলচেয়ার দিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের অরুনোদয় স্কুলে কয়েকশত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক অনুষ্ঠানে এই হুইলচেয়ারগুলো দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষকবৃন্দসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ও আইওএম-এর ট্রানজিশন এন্ড রিকভারি কর্মসূচীর প্রোগ্রাম ম্যানেজার প্যাট্রিক শেরিগনন। কানাডা সরকারের সহযোগীতায় এই হুইলচেয়ারগুলো দেওয়া হয়েছে।
সরকারি হিসেবমতে কক্সবাজারে প্রায় ২৮,০০০ প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে এবং অরুনোদয় স্কুল স্থানীয় প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা প্রদানে কাজ করছে।
প্যাট্রিক শেরিগনন বলেন, প্রতিবন্ধী বা পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আইওএম সবসময় গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষদের সহায়তার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর আইওএম। আইওএম-এর এই অনুদান সামগ্রিক সহায়তা কর্মসুচীর একটি অংশ। কক্সবাজারে অরুণোদয় প্রথম প্রতিবন্ধীদের জন্য এগিয়ে আসে এবং প্রায় ৭০০ শিশু এখানে শিক্ষার সুযোগ পাবে, যাদের মধ্যে ৫০০ প্রতিবন্ধী এবং ২০০ পথশিশু।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-