বাংলা নিউজ •
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যে সমাবেশে করেছে সে বিষয়ে জনগোষ্ঠীটির এক নেতা বলেছেন, স্থানীয়দের ভয় দেখাতে নয়, মিয়ানমার সরকারকে জানান দিতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ২৭ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটের সভাপতি মহীবুল্লাহ।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের এই সমাবেশের আয়োজন এমনভাবে করা হয়েছে, যেন টেকনাফ-উখিয়ার জীবনযাত্রায় কোনো ধরনের প্রভাব না পড়ে। টঙ্গী বিশ্ব এজতেমা থেকে শিক্ষা নিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের এ সমাবেশ হয়েছে। আর স্থানীয়দের ভয় দেখাতে নয়, মিয়ানমার সরকারকে জানান দিতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার দ্বিতীয় বার্ষিকীতে ২৫ আগস্ট কুতুপালংয়ে এক বিশাল সমাবেশ করে রোহিঙ্গারা। একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে আরেকটি রাষ্ট্রের আশ্রিত জনগোষ্ঠীর এই সমাবেশ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গত দুই বছরে রাখাইন থেকে পালিয়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারও আগে বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নিয়েছে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে এখন বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। এদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে জোরদার কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে বলে জানাচ্ছে সরকার।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-