ডেস্ক রিপোর্ট – জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন অফিস সহকারী সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা।জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাধনার চার মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের আপত্তিকর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সাধনাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া না গেলেও হঠাৎ করে আজ সোমবার জেলা প্রশাসকের অফিসে হাজির হন তিনি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কয়েকজন জানান, আজ সকালে বোরখা এবং হিজাব পরিবর্তন করে অফিসে আসেন সাধনা। তাকে শুরুতে কেউই চিনতে পারেননি। একটি ছুটির দরখাস্ত নিয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কক্ষে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরেন।এ সময় সাধনা সাংবাদিকদের কাছে আকুতি-মিনতি করে সাধনা জানান, ‘আমি বাঁচতে চাই না, আমার সন্তানের জন্য আমাকে বাঁচান। আমাকে ধিক্কার না দিয়ে আমার সন্তানের জন্য আমাকে বাঁচার ব্যবস্থা করে দিন।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এই অফিস সহকারী জানান, ‘আমি সত্যি কথা বলছি, আমি কিছুই জানি না এগুলা কে করেছে। আপনারা তদন্ত করে বের করে এর বিচার করুন।’বিচার চান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাধনা বলেন, ‘আমি বিচার চাই, তবে স্যারের কোনো দোষ নাই এর মাঝে। স্যার নির্দোষ। কারণ স্যার আমার কোনো ক্ষতি করে নাই ’সম্প্রতি জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।এ নিয়ে জামালপুরসহ সারাদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় রোববার জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে ওএসডি করা হয়। একই সঙ্গে ডিসি আহমেদ কবীরকে সরিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ এনামুল হককে জামালপুরের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
এদিকে ডিসি আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই নারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। এরই মধ্যে হঠাৎ করে রোববার উধাও হন ওই নারী। সেই সঙ্গে রোববার অফিসও করেননি তিনি। এরই মধ্যে সোমবার ছুটির আবেদন নিয়ে অফিসে আসেন ওই নারী।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-