বিশ্বজীৎ বড়ুয়া, উখিয়া :
উখিয়ায় কামারের দোকানগুলোতে চলছে দা,ছুরি,চাপাতি তৈরীর রমরমা ব্যবসা। কেউ তৈরী করছেন প্রকাশ্যে আর কেউ বা গোপনে।ব্যস্ত সময় পার করছেন কথিত সব কামারেরা। উদ্দেশ্য একটাই রোহিঙ্গাদের মাঝে অস্ত্র সরবরাহ করা। এছাড়াও বিভিন্ন গোপন সংবাদ পেয়ে বর্তমানে ভয়ে-আতঙ্কে দিন পার করছেন উখিয়া-টেকনাফের প্রতিটি মানুষ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় কোটবাজারস্থ ভালুকিয়া রোডে প্রকাশ সুধীর কর্মকারের দোকানে এর আলামত পাওয়া গেলে উখিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে ৬০০টি সম্পূর্ণ তৈরীকৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এর আগে এসব অস্ত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
ঘটা করেই প্রশাসনের উপস্থিতিতে হতভম্ব হয়ে কামার সুরসুর করে উৎসুক জনতার সম্মুখে সব সত্যের স্বীকারোক্তি প্রদান করে।
দোকান মালিক সুধীর কর্মকার বলেন, সম্প্রতি কোরবানের আগে বেসরকারী এনজিও সংস্থা মুক্তির জন্য ২,৬০০ পিস দেশীয় অস্ত্র তৈরীর অর্ডার দেন ভালুকিয়ার বাসিন্দা সাইফুল।
অর্ডার দেয়ার সময় ৩০ হাজার টাকা অগ্রীম দেন সাইফুল। আর অস্ত্রসমূহ আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ডেলিভারি দিতে বলা হয়।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, এনজিও সংস্থা মুক্তির জন্য ভালুকিয়ার জনৈক সাইফুল এসব অস্ত্র তৈরীর অর্ডার দিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় জনসাধারণ চট্টগ্রাম হতে টেকনাফ মহাসড়কে চলাচল করা প্রত্যেক প্রকারের গাড়ি,নৌ-যান, মালামাল, ফেরিওয়ালা, বক্স এবং ব্যক্তিকে চেক করার জন্য প্রশাসনকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-