গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল
টেকনাফ উপজেলার শরনার্থী শিবির গুলো এখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দখলে!
দিনের পর দিন বাড়ছে নানা প্রকার অপরাধ প্রবনতা। এই অসাধু রোহিঙ্গা চক্রের সদস্যরা অত্র এলাকায় মাদকপাচার,অপহরন,ধর্ষন, মানুষ হত্যাসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা সংগঠিত করছে না। এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারনে টেকনাফ উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গাদের নানা অপকর্মের কারনে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা। সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আতংক! অনুসন্ধানে দেখা যায়, বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, প্রত্যেকটি অপরাধের সাথে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা সক্রিয় ভাবে লিপ্ত রয়েছে।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, হ্নীলা জাদীমুরা নাফনদী ও পাহাড়ী পথ ব্যবহার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসা মাদকপাচার,অপহরনসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। মাঝে মধ্যে তাদের অপকর্মে বাধা হয়ে দাঁড়াত জাদীমুরা মোনাফ কোম্পানীর পুত্র যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক।
অবশেষে গত ২৪ আগস্ট রাতের অন্ধকারে ফারুককে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। অথচ এই ফারুক ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অসহায় রোহিঙ্গাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছিল। সেই মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া যুবকটিকে তারা রেহাই দিলনা।
এব্যাপারে টেকনাফের সু-শীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,যে ভাবে দিনের পর দিন রোহিঙ্গারা মাদকপাচার,মানুষ হত্যা ও অপহরনসহ নানা অপরাধ সংঘঠিত করছে। রোহিঙ্গাদের এই সমস্ত অপকর্ম গুলো অব্যাহত থাকলে অত্র এলাকায় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাবে অপরাধ প্রবনতা। তাদের দাবী যত দ্রুত সম্ভব স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এই সমস্ত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসলে অত্র উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে।
এদিকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নির্মুল করার জন্য টেকনাফ থানা পুলিশের সাঁড়াশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ আগস্ট গভীর রাতে হ্নীলা জাদীমুরা পাহাড়ী এলাকায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যার অন্যতম দুই আসামী মোঃ শাহ ও আব্দুর শুক্কুর নামে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গোলাগুলিতে নিহত চিহ্নিত ২ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী। তিনি আরো বলেন, উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি টেকনাফের শরনার্থী শিবির গুলোতে বসবাসকারী যে সমস্ত রোহিঙ্গারা মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানা অপকর্মে জড়িত সেই সমস্ত অপরাধীদের নির্মুল করার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যদের সাঁড়াশী অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-