গিয়াস উদ্দিন ভূলু, কক্সবাজার জার্নাল ডটকম :
টেকনাফ নাফনদী সীমান্ত উপকুল দিয়ে এখনো আসছে ইয়াবা! আইন-শৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যরা যতই কঠোর হচ্ছে ততই বাড়ছে এই মরন নেশা ইয়াবা পাচার।
তারেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ নাফনদী সীমান্তে আবারও সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যদের সাথে গোলাগুলিতে দুই ইয়াবা পাচারকারী নিহত হয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা,অস্ত্র,গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবি’র তথ্য সূত্রে জানা যায়,২২ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবুনিয়া নাফনদী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইয়াবা পাচার করার সময় এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়।
নিহতরা হচ্ছে,উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার মৃত ছৈয়দ হোসেনের ছেলে মোঃ সাকের (২২) ও টেকনাফ হ্নীলা মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার মৃত মোঃ আলীর ছেলে নুর আলী (৩০)।
সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি’র উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, ২২ আগস্ট রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবুনিয়া নাফনদী সীমান্ত এলাকা দিয়ে নৌকায় করে মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসা ইয়াবার একটি চালান নাফনদী অতিক্রম করে উপকুলে প্রবেশ করার সময় বিজিবির সদস্যরা থামানোর সংকেত দিলে পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের উপর এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গুলাগুলি থেমে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল দুই ইয়াবা পাচারকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে,টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে অবশেষে সেখানে তাদের দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করে দায়িত্বরত চিকিৎসক।
সংঘটিত এই ঘটনায় ২ বিজিবি’র দুই সদস্যও আহত হয়। তারা হচ্ছে সিপাহী মতিউর রহমান ও উজ্জল হোসেন।
তিনি বলেন,বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৫০ হাজার ইয়াবা,দেশিয় তৈরি একটি বন্দুক, ৩ রাউন্ড কার্তুজ এবং দুটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ ২টি মৃতদেহের ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-