মোহাম্মদ উল্লাহ-চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের ক্ষুধার্ত প্রশিক্ষিত হাতি খাবারের অভাবে মাহুতকে পিষে মারল বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।পার্কের হাতির গেটের কাছে এ ঘটনা ঘটেনা মুহূর্তে পার্কের পর্যটকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে ।
এসময় আতংকে হাতির আক্রম থেকে বাচঁতে গিয়ে ১৫/২০ পর্যটক গুরুতর আহত এবং সাফারী পার্কে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সাফারী পার্কে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মচারী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, সাফারী পার্কের পশুপাখির খাবার সরবরাহের ঠিকাদারী দায়িত্বে রয়েছেন কাজল নামের এক ব্যক্তি। ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের সাথে রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম এর সাথে যোগসাজসে নিয়মিত খাবার সরবরাহে অনিয়ম করে আসছে দীর্ঘ দিন। এতে সাফারী পার্কের পশুপাখিরা প্রায় সময় ক্ষুধার্ত থাকে। এতে অনেক সময় খাবারের অভাবে পশুপাখি মারা গেলেও গোপনে অসুখে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।এদিকে সাফারী পার্কে তিনটি হাতি রয়েছে। এসব হাতিকে প্রতিনিয়ত খাবার দিতে হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হয়না।
বুধবার সকালে ক্ষুদ্ধ হাতি ভদ্রসেন চাকমা (৫৬) নামের এক মাহুতকে পিষে মেরে ফেলে। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা ইউনিয়নের বঙ্গল টুলি গ্রামের রাঙা মোহন চাকমার পুত্র।এ ঘটনায় সাফারী পার্ক এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। দর্শনার্থীরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। এভাবে চললে সাফারী পার্কের পর্যটন শুন্য হয়ে যাবে। সরকার কোটি টাকার ও বেশি রাজস্ব ক্ষতি হবে ।
এ ব্যাপারে পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ একাধিক বার ফোন করার পর রিসিভ করে বলেন, আমার সাফারী পার্কে হাতি লোক মারলে আপনার সমস্যা কি যত পারেন লিখেন কিছু করতে পারবেন না।সাফারি পার্কের খাদ্য সরবরাহের অনিয়ম বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এসব বিষয়ে আপনার মাথা ঘামানোর কারণ কি যা পারেন লিখেন।
স্থানীয় কয়জন আগত দর্শক আক্ষেপ করে বলেন এভাবে চলতে থাকলে এক সময় পার্কে দর্শনার্থী শুন্য হবে।এই কারণে পর্যটক নিরাপত্তা ঝুকিতে রয়েছে বলে কর্মচারীরা অভিযোগ করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-