বিশেষ প্রতিবেদক :
মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া, নাগপুরা, গদুরা ও বলি বাজারের ৪টি শীর্ষ ইয়াবা পাচারকারী গ্রুপের সংঘবদ্ধ একটি দল কুতুপালং,বালুখালী,ময়নার ঘোনা,তাজনিমার খোলা সহ বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান নিয়ে ইয়াবার লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। যে কারণে উখিয়া সীমান্তের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে এখনো ইয়াবার চালান আসছে। তবে বিজিবি কর্মকর্তা বলছেন, তারা সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারিতে রেখেছেন।
নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে বালুখালীর একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি জানান, কাদিরাঘাঁট ঢেকিবনিয়া রহমতের বিল সাইক্লোন সেল্টার, চাকমা কাটা, বালুখালী পূর্ব পাড়া কাটা পাহাড় (চন্দ্র পাড়া), বেতবুনিয়া গোলপাতা বাগানের পয়েন্টসহ ৪টি পয়েন্ট এখন ইয়াবা কারবারিদের নিরাপদ রুট। এই ৪ পয়েন্ট দিয়ে রাতের আধারে ইয়াবা ঢুকছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।
বিশেষ করে কুতুপালং ও বালুখালী এলাকার চিস্থিত ইয়াবা গডফাদার আলী আকবর,বুজুরুজ,মনির আহামদ,এনাম, জয়নাল,মোহাম্মদ হোসেন ড্রাইভার,নুরুল হক,আলা উদ্দিন,মাহমুদুল হক,রোহিঙ্গা ইয়াবা গডফাদার সোলেমান,লাদেন সহ একাধিক ইয়াবা কারবারি ক্যাম্পে ইয়াবা মজুতে জড়িত বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
বালুখালীর নুরুল আবছার মেম্বার জানান, বালুখালী ক্যাম্পে ইয়াবার লেনদেন ব্যবহার ও পতিতাবৃত্তি আশংকাজনক ভাবে বেড়ে গেছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পরপরই বালুখালীর পরিবেশ অপরাধ জগতের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। ভয়ানক এ অনৈতিক পরিবেশ এখনই দমন করা না হলে পরবর্তীতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে পরিবেশ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হবে।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম,গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান,রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা বানিজ্য জমজমাটভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সীমান্তে যাচ্ছে,আর ইয়াবা নিয়ে ক্যাম্পে ফিরে আসছে। রোহিঙ্গা ইয়াবা গডফাদাররা ক্যাম্পে বসে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর বাহক হিসেবে ব্যবহার করছে সাধারন রোহিঙ্গাদের। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ নারী ও শিশু।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল মনসুর জানান,ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। আমি এরি মধ্যে ঘোষনা দিয়েছি “হয় ইয়াবা ছাড়তে হবে,নয়তো দেশ ছাড়তে হবে”ইয়াবা ব্যবসা করে উখিয়ায় থাকা যাবেনা। সে যতবড় প্রভাবশালী হৌক,ইয়াবা ব্যবসা করে পার পাবেনা।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র লে.কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ বলেন, সীমান্তের নাফনদী পার হয়ে চিংড়ি ঘের এলাকা দিয়ে ইয়াবার চালান আসছে। তিনি বলেন, নাফনদী ও চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরে জীবন ধারণের সাথে জড়িত পরিবার গুলোর কথা চিন্তা করে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-