শাহীন মাহমুদ রাসেল :
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। এরই মধ্যে বাজারে মসলার দামে যেন আগুন লেগেছে! আর সে আগুনে পুরে কয়লা হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণরা- এমনটাই অভিমত দিয়েছেন বৃহস্পতিবার খরুলিয়া বাজার, কলঘর বাজার, রামু বাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজারের ক্রেতারা।
কিন্তু এই চড়া মূল্যের দায় নিতে রাজি নন ব্যবসায়ী বা সাধারণ ক্রেতা কেউ। একপক্ষ ঢালাওভাবে অন্যপক্ষকে দায়ী করছেন। চোরাই পথে আসা মসলার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন বলেও জানা যায় ব্যবসায়ী সমিতি’র সঙ্গে আলাপে।
এ বিষয়ে বারবার প্রসাশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অমূলক বলে দাবি করেছেন কতৃপক্ষ।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর কোরবানি ঈদ মৌসুমে ৩ লাখ টন পেঁয়াজ, দেড় লাখ টন রসুন, ২ লাখ টন আদা, ১ লাখ টন হলুদ, ২০০ টন জিরা, ২০০ টন দারুচিনি, ২০০ টন কালো এলাচ এবং ২০০ টন সাদা এলাচ বিক্রি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মসলাই আমদানি করতে হয়। আর এই আমদানি নির্ভরতার কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রামু বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ধনিয়া ১০০ টাকা, জিরা ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৪২০টাকা, এলাচি ১৮০০ টাকা থেকে ২২০০টাকা, লবঙ্গ ২০০০ টাকা, গোলমরিচ ১২০০টাকা, মরিচ ১৫০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, রসুন ১৭০ টাকা, হলুদ ১৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
খরুলিয়া বাজারের ক্রেতা নাছির উদ্দিন বলেন, তিন-চারদিন পর ঈদ। তাই ভাবলাম বাজারটা আগে ভাগেই সেরে নেই। কিন্তু এসে দেখছি সব পণ্যের দাম বেশি। মধ্যবিত্তের জন্য ঈদ উদযাপন সত্যিই কষ্টকর!
অন্যদিকে খরুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মাহামুদুল্লাহ বলেন, মসলার দামের ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ পাইকারি দাম যা সে অনুযায়ী খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়।
মসলা ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দেশে গরম মসলা উৎপাদন শুরু না হলে এই বাজার সরকার বা ব্যবসায়ী কেউই স্থিতিশীল রাখতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-