গিয়াস উদ্দিন ভূলু, কক্সবাজার জার্নাল ডটকম :
টেকনাফে পুলিশ ও মাদক কারবারীদের পৃথক গোলাগুলিতে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার আব্দুল হাকিমের ৩ সহযোগীসহ ৪ যুবক নিহত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় কক্সবাজার সহকারী পুলিশ সুপারসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র, কিরিচ, বিপুল পরিমান কার্তুজ।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৩ আগষ্ঠ (শনিবার) রাতের প্রথম প্রহর দেড়টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার ছড়া এলাকায় এসআই মশিউর ডিউটিকালীন একটি সন্দেহভাজন সিএনজি হতে মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার গাঙ্গিয়ার কূল গ্রামের মৃত জহির মোল্লার পুত্র ইমরান মোললা (২৭)কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় অস্ত্রসহ পালানোর সময় নোয়াখালী সোনাইমুড়ি থানার পশ্চিম এনায়েত পুরের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সাইফুদ্দিন শাহীন (৩৮) ও টেকনাফ সদরের হাতিয়ার ঘোনার মৃত বাঁচা মিয়ার পুত্র মোঃ সিদ্দিক (২৭) কে আটক করে।
আটককৃতরা পুলিশকে জানায় জনৈক খলিলের নিকট থেকে ইয়াবা কিনে তা ইমরান মোল্লাকে খাওয়ালে বেশী মাতলামী করায় তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে স্বীকারোক্তি দেয় তারা।
এরপর পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ ইমরানকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
অপরদিকে ভোররাত ৩টার দিকে সদর ইউনিয়নের নুরুল্লাহ ঘোনা পাহাড়ে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমসহ ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতদলেরর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষন শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স সাথে নিয়ে পাহাড়টিকে ঘিরে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালীন সময়ে ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান,এসআই মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব, কনস্টেবল মেহেদী গুলিবিদ্ধ হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ৭টি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ ও ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কুতুবদিয়ার নুরুচ্ছফা ডাকাতের পুত্র আয়ুব (৩৫),শাহজাহান বাদশাহর পুত্র জুনাইদ (৩২) টেকনাফ পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ার আব্দুল গফুরের পুত্র চিহ্নিত মাদক কারবারী মেহেদী হাসান (৩২) কে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ সবাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান,পৃথক ঘটনায় নিহত যুবকরা চিহ্নিত মাদক কারবারী, শীর্ষ ডাকাত ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার পলাতক আসামী ছিল।
তিনি আরো জানান, সংঘটিত এই ঘটনা গুলোর সাথে পালিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি পলাতক ডাকাত ও মাদক কারবারে জড়িতদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসতে পুলিশের চলমান অভিযান অব্যাহত হতে থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-