ডেস্ক রিপোর্ট – বাসা ভাড়া নিয়েছিল খুশি গঙ্গোপাধ্যায় (২৮)।স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ফেব্রুয়ারিতে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন তারা। এলাকার মানুষ তাদের গঙ্গোপাধ্যায় দম্পতি বলে চিনত। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বেড রুম থেকে উদ্ধার করা হয় পচাগলা ঝুলন্ত লাশ। তবে এই ঘটনা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, ওই মহিলার নাম খুশি গঙ্গোপাধ্যায় (২৮)। তবে এটি তার আসল নাম কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) তাদের রুম থেকে খুশির পচাগলা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ভারতের বাগুইআটি থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কানন এলাকায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে।
তদন্তকারীরা জানান, উদ্ধার হওয়া ওই মহিলার আরও একটি নাম রয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তার স্বামী কিংবা অন্য আত্মীয়দেরও কাউকে পাওয়া যায়নি।
সূত্রে জানা যায়, ফ্ল্যাটের ভিতরে শোয়ার ঘরে গিয়ে পুলিশ দেখে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে ঝুলছে ওই মহিলার দেহ। পরনে সাদা টি-শার্ট এবং নীল রঙের ট্র্যাক প্যান্ট। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ বলছে, এই দম্পতি সত্যিই স্বামী-স্ত্রী কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তারা বলেন, প্রফুল্ল কানন এলাকার ওই আবাসনের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন ওই দম্পতি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা শুনেছিলেন মহিলা পাঁচ নম্বর সেক্টরে কাজ করতেন। এবং তার স্বামী কোনও জিমের সঙ্গে যুক্ত। মহিলার ঘর থেকে সুইসাইড নোট মিলেছে বলে পুলিশ জানায়। তবে সেটি ওই মহিলারই হাতের লেখা কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
এদিকে পুলিশ সূত্রের খবর, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে স্পষ্ট হবে, এই ঘটনা আত্মহত্যার না অন্য কোনও রহস্য রয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, মহিলার স্বামী কোথায় রয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করছেন তারা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন ওই দম্পতি। কলকাতায় তাদের আত্মীয়েরা রয়েছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ওই আবাসনে সিসি ক্যামেরা থাকলেও সূত্রের খবর, কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি কিছু দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-