ডেস্ক রিপোর্ট – কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে ৫ ঘন্টার সফরে ৩০ জুলাই মঙ্গলবার কক্সবাজারে আসছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো।
সফরকালে তিনি উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
কক্সবাজার সফর শেষে ওইদিন ঢাকায় ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন তিনি।
বুধবারই তার বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলো আলোচনায় থাকবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নয়তো তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। গত সপ্তাহে তুরস্ক সফরকালে দেশটির সংবাদমাধ্যম আনাদলু এজেন্সিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি মিয়ানমারসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি এ আহ্বান জানান।
মাহাথির বলেন, মালয়েশিয়া সাধারণত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না। তবে মিয়ানমারে চলমান ‘জেনোসাইড’ ও হত্যাযজ্ঞের কারণে মালয়েশিয়া কথা বলছে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই মিয়ানমার একসময় আলাদা অনেক রাষ্ট্র ছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা মিয়ানমারকে একক রাষ্ট্র হিসেবে শাসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর সে কারণেই বার্মা রাষ্ট্রে অনেক গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।’ মাহাথির বলেন, ‘তবে এখন, অবশ্যই তাদের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিতে হবে অথবা তাদের আলাদা রাষ্ট্র গড়তে তাদের ভূখণ্ড ফিরিয়ে দিতে হবে।’
এর আগে জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শারমেন মার্কিন প্রতিনিধিসভার পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে শুনানির সময় এমন ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানের মতো রাখাইনকে মিয়ানমার থেকে আলাদা করবে কি না? তাঁর ওই ভাবনা ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিনির্ধারকরা সমর্থন করেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এমন ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে অন্য দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-