টেকনাফে অসাধু রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমন করতে স্বোচ্ছার হচ্ছে রোহিঙ্গা নেতারা!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে ইয়াবা ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এদিকে সংঘটিত অপরাধ গুলো দমন করার জন্য ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা রোহিঙ্গা নেতারা স্বোচ্ছার হয়ে উঠেছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ২০ জুলাই শনিবার দুপুরে টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে মাদক,মানব পাচার ও সন্ত্রাসী কার্য্যক্রমসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধ করার জন্য এক সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

জানা যায়, উক্ত ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা নেতারা নিজেদের উদ্যোগে ফোরকানিয়া নামক একটি মাদ্রাসায় বিভিন্ন বস্তি থেকে আগত রোহিঙ্গাদের নিয়ে এই সভা আয়োজন করে। উক্ত সভায় উপস্থিতি রোহিঙ্গাদের ইয়াবা, মানব পাচারসহ সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধ করার জন্য সবাইকে স্বোচ্ছার থাকার আহবান জানান টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডেভেলপমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম।

একইদিন বিকেলে সভা শেষে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের ডেভেলপমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমের নেতৃত্বে একদল রোহিঙ্গা নেতারা শিবিরের ইয়াবা মজুদের খবরে বি-বল্কের ছালে আহমদ, মোহাম্মদ সেলিম, খালেদা বেগম ও জোহুরা বেগমের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।

এসময় পাচারের জন্য প্যাকেট কালে ইয়াবাসহ এক নারীকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানায় রোহিঙ্গা নেতারা।

টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের ডেভেলপমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, শিবিরে অপরাধ কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়ায় রোহিঙ্গা নেতাদের নিয়ে সভা আয়োজন করা হয়েছে।

শিবিরে ইয়াবা ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ বন্ধে আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করছি। তারই সুত্রে ধরেই, শনিবার বিকেলে রোহিঙ্গা শিবিরের বি-বল্কের ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে ইয়াবাসহ আটকে এক নারীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার কাছে ৩ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি ছিল।

এতো বিপুল পরিমান রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের জায়গায় দেওয়া জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়ে কি অপরাধ করেছে?

যদি তা না হয় গুটি কয়েক রোহিঙ্গা অপরাধীদের জন্য গুটা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বদনামের ভাগ নিবেন না। ফলে এখন থেকে রোহিঙ্গা শিবিরে কাউকে অপরাধ কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না। ইয়াবা আসক্ত রোধে বিশেষ করে পরিবারের লোকজনকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী এদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জীবন যাপন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অপরাধ প্রবণতা বন্ধে রাত ৮ টার পর থেকে কোন লোকজন শিবিরে ঘুরাফেরা করতে পারবে না। তার শিবিরের ৬টি বল্কে ৩ হাজার পরিবারের প্রায় ২২ হাজার লোকজনের বসতি। তাদের জন্য প্রায় ৬০ জনের মতো প্রহরী রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ জরুরী ভিত্তিতে ৩০ জন প্রহরী নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন।

আরও খবর