উখিয়ায় এইচএসসি’তে ফলাফল বিপর্যয়, নেপথ্যে এনজিও’র চাকরি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বুধবার প্রকাশিত এইচএসসি’র ফলাফলে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটেছে উখিয়ার কলেজ গুলোতে। তৎমধ্যে উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ৩ বিভাগে মোট এবার পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল ৬৬৫জন শিক্ষার্থী । পাশ করেছে ১৫৪জন। পাশের হার ২৭%। তবে তার তূলনায় কিছুটা ভাল করেছে উখিয়ার একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ। পাশের হার ৪৪%। পরীক্ষার্থী ছিল ৪৭৬জন, পাশ করেছে ২১০জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাশের মধ্যদিয়ে গৌরব ধরে রেখেছে রুমখাঁ আলিম মাদ্রাসা। পরীক্ষার্থী ছিল ৫১জন, পাশ করেছে ৫১জন। তার পাশাপাশি রাজাপালং এমইউ ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল ১৪৭জন, পাশ করেছে ১৪২জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৯৭%।

উখিয়ার কলেজ গুলোতে ফলাফল বিপর্যয়ের ব্যাপারে নুরুল ইসলাম সিকদার নামের এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিওতে চাকরি করার কারনে পড়ালেখা থেকে দুরে সরে গেছে যার ফলে এই ফলাফল বিপর্যয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ উখিয়া বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলেজে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে অধিকাংশ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি করে। চাকরি করেতো আর নিয়মিত ক্লাস করা সম্ভব না। তাই ওইসব ছেলে/মেয়েরা পেল করেছে। বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী এক বিষয়ে রেজাল্ট খারাপ করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় এনজিওতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, যে সমস্ত ছেলে/মেয়েরা পড়ালেখায় অধ্যায়নরত আছে তাদেরকে চাকরি না দিয়ে স্থানীয় বেকার ছেলে/মেয়েদের চাকরি দিন। কারণ তাদেরকে যদি চাকরি দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে মেধাশূণ্য হয়ে পড়তে পারে উখিয়া। তার এই বক্তব্য আজ সত্য প্রমাণিত হল।

আরও খবর