গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল
টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে চিহ্নিত মাদক কারবারী নেতা মফিদুল আলম নিহত। তিন পুলিশ আহত,ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায় গতকাল ১৩ জুলাই রাতে পুলিশের হাতে আটক হয় হোয়াইক্যং ইউনিয়ন নয়াপাড়া এলাকার মৃত নজির আহাম্মদের পুত্র মাদক ব্যবসায়ী নেতা মফিদুল আলম(৩৮) এরপর আটককৃত আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৪ জুলাই শেষ রাতের দিকে গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করার জন্য পুলিশের একটি দল নয়াপাড়া এলাকায় পৌছলে বালিকা মাদ্রাসার পিছনে লুকিয়ে থাকা আটক আসামীর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষন করে আত্বরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে মাদক কারবারী ‘মফিদুল’ গুলিবিদ্ধ হয় এবং পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়। কিছুক্ষণ পর গুলিবর্ষণকারীরা সু-কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ২টি এলজি,১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ,৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এদিকে পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ মুফিদুলকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে সেখানে চিকিৎসাকালীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, অত্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো অনেক মাদক কারবারী ভদ্রতার আড়ালে থেকে সু-কৌশলে ইয়াবা ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। গোপন সংবাদের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতাই নিয়ে আসার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যদের মাদক বিরোধী চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন আমি যতদিন এই এলাকায় থাকবো মাদক পাচারে জড়িত কোন অপরাধী আমার হাত থেকে রেহাই পাবেনা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-