বসের যৌন হয়রানি প্রকাশ করায় নারীর জেল

বসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনা রেকর্ড করে তা প্রকাশ করার অপরাধে ৬ মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও গুণতে হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার এক নারীর। রায়ের বিরুদ্ধে করা ওই নারীর আপিল আবেদনও গত বৃহস্পতিবার নাকচ করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারকের একটি প্যানেল গত বছর নুরিল মাকনুন নামের ওই নারীকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং প্রায় ৩৫ হাজার ডলার জরিমানা করেন।

রায়ে নুরিল মাকনুনের বিরুদ্ধে অশ্লীল বিষয় ছড়ানোর দায়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে রেকর্ডিংটি ছড়িয়ে পড়লে নুরিলের বস তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এ মামলাটি করেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার লোমবোক দ্বীপের শহর মাতারাকের একটি স্কুলের কর্মচারী নুরিল ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে যৌন হয়রানিমূলক ফোন পান। রেকর্ড করা সেই ফোনালাপে ওই প্রধান শিক্ষক যৌন হয়রানি ও অবমাননাকর মন্তব্য করেন। রেকর্ডিংটি স্কুলের কর্মচারী এবং স্থানীয় শিক্ষা সংস্থাগুলোর প্রধানদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

তবে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে তথ্য ও লেনদেন আইনে শ্লীলতা লঙ্ঘনের দায়ে গত নভেম্বর মাসে নুরিলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সপক্ষে নতুন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় নুরিলের আপিল বাতিল করা হয় বলে জানান আদালত।

এরপর ২০১৫ সালে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই প্রধান শিক্ষক। সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে তথ্য ও লেনদেন আইনে শ্লীলতা লঙ্ঘনের দায়ে গত নভেম্বর মাসে নুরিলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

আরও খবর