বিশেষ প্রতিবেদক :
উখিয়া নুর হোটেলর স্বতাধিকারী শামসুদ্দিন শামীমের বিরুদ্ধে হোটেল ব্যবসার আড়ালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক জঙ্গী কানেকশনের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্কুর অন্তরালে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিক্তিক জঙ্গী সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন কার্যত্রুম চালিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ইয়েমেনসহ একাধিক দেশ সফরের তথ্য মিলেছে।
জানা যায়, রোহিঙ্গা আসার শুরুর দিকে শামীম তবলীগের আড়ালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন কার্যত্রুম পরিচালনা করে আসছে। সেই থেকে শুরু। একের পর এক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সহযোগিতামুলক কর্মকান্ড বাড়িয়ে দেন তিনি। সবকিছু তদারকির জন্য উখিয়া নুর হোটেলের পাশে^ একটি অফিস নেওয়া হয়। তার অফিস ও বাড়ীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনের আনাগুনা বেড়ে যায়। রোহিঙ্গা আসার পর সে খুব একটা নুর হোটেলে বসেনি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক কার্যত্রুমের সুবিধার্থে স্ত্রী থাকার পরও সে এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে।
এ বিষয়ে শামীমের বড়ভাই জসিম উদ্দিন বলেন,তার সাথে বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারের খুব একটা যোগাযোগ নেই। রোহিঙ্গা আসার পর থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে মৌলভী টাইপের লোকজন তার সাথে দেখা যায়। তাদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার অবস্থান। দোকান বা বাড়ীতে খুব একটা থাকেনা সে। শুনেছি তাদের সাথে ইয়েমেন,সেীদি আবরসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছে শামীম। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক কার্যত্রুমের সুবিধার্থে সে ক্যাম্প থেকে বিয়ে করেছে। কুতুপালং লম্বাশিয়ার অদুরে জরাইতলী নামক স্থানে ৯০ কানি জায়গা ত্রুয় করে তাতে ছোট ছোট স্থাপনা তৈরী করা হয়েছে। সবকিছু তদারকির জন্য নির্মান করা হয়েছে কয়েকটি টাওয়ার। যা সন্দেহজনক। সেখানে বিরাট এলাকাজুড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের বৈঠক হয় বলে শুনেছি।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে শামসুদ্দিন শামীমের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,তবলীগের সফরে আমি ইয়েমেন,সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। আমি তবলীগের মেহনত করি। আমি কোন জঙ্গী সংগঠনের সাথে জড়িত নয়। হ্যা.রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন জরাইতলী এলাকায় কিছু জায়গা আমার রয়েছে,তা বনবিভাগ থেকে লীজ নেওয়া। সেই জায়গা রক্ষানাবেক্ষণের জন্য টাওয়ার করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-