জেলায় ২ কোটি টাকায় ১০৮ প্রকল্পের বাস্তবায়ন

এম.বেদারুল আলম :

জেলায় গ্রামিণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন  (কাজের বিনিময়ে টাকা) সোলার প্রকল্পের ১০৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় বদলে গেছে গ্রামের জনপদ। সরকার গ্রামিণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করায় এ সুফল পেতে বসেছে মফস্বল এলাকার সাধারণ মানুষ। সরকারের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি সাংসদদের মাধ্যমে প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়ন করে থাকে। জেলার ৪ সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্যদের ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের গ্রামিণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার টাকা এ বছরের শুরুতে বরাদ্ধ দেয়া হয় ।

গত ৩০ জুন অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। প্রকল্প কর্মকর্তা, প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটি, তদারকি কর্মকর্তার তদারকি এবং বিশেষ করে সংসদ সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারনে বেশিরভাগ প্রকল্প যথাযথ বাস্তবায়ন হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা কর্ণধার কমিটির গত ১০ জুনের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন সভায় ৪ টি সংসদীয় আসনের সব সংসদীয় আসনে প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার একটি শক্তিশালী তদারকি কমিটির তদারকির কারনে প্রকল্প দেখভালে প্রকল্প কর্মকর্তাগণ মাঠে যাওয়ায় কাবিটার কাংখিত ফল এসেছে চলতি বছরে। ফলে জেলার ২৪ লাখ জনগোষ্ঠি কাজের বিনিময়ে টাকা (সোলার) প্রকল্পের সুফল পেতে বসেছে।  

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প কাবিটা ( সোলার) প্রথম পর্যায়ে  জেলার ৪ সংসদীয় আসনে  জন্য ১০২টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ৩ মাসের মধ্যে বরাদ্দকৃত উক্ত প্রকল্প সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উক্ত বরাদ্দকৃত প্রকল্পের বিপরীতে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।

অগ্রগতি প্রতিবেদনে মহশেখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাংসদ শাহিন আক্তার বদি, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম, সদর-রামুরে সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলসহ ৪ আসনে দেয়া বরাদ্ধ যথাযথ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার পূর্বে উক্ত সকল প্রকল্প শেষ হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

এদিকে জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ রইস উদ্দিন মুকুল জানান, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে  সাংসদের নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক কাবিটার প্রথম পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ ছিল সদরের ১১টি প্রকল্পের জন্য ২৫,১১৫৩৭ টাকা, রামুর ৩৪  প্রকল্পের জন্য ৩০,৫৫,৫৬৬ টাকা, চকরিয়ায়  ১৮টি প্রকল্পের জন্য ৪১,৫৪,৫৭৫ টাকা, পেকুয়ায় ৭টি ইউনিয়নে ৮টি প্রকল্পের জন্য ২১,১৪,৪৫২ টাকা, মহেশখালী  ১০টি প্রকল্পের জন্য ৩২,৮৩,০৩১ টাকা, কুতুবদিয়ার ৭টি প্রকল্পের জন্য ২০,৭৪,১৪৬ টাকা। উখিয়ার ৭টি প্রকল্পের জন্য ২৬,২০,৫৩৯ টাকা এবং টেকনাফের ৭টি প্রকল্পের জন্য ৩০,৯৮,২০১ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে কক্সবাজার- ২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের নির্বাচনি এলাকা মহেশখালীতে কয়েকটি প্রকল্প ইতোমধ্যে সাধারন জনগনের কাছে ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকে উক্ত সড়ক দিয়ে ইতোমধ্যে সাধারণ যানের পাশাপাশি বড় যানবাহন চলাচল করতে পারায় চলাচলে গতি এসেছে।

মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, আমাদের সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী তাই আমাদের বরাদ্ধপ্রাপ্ত সকল প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়নই আমাদের কাজ । অতিতে কে কি করেছে তা আমার বিষয় নয় আমি চাই আমার এলাকা যেন অবহেলিত না থাকে । উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে আমি কাজ করে যান।
কাজের অগ্রগতি এবং জনসাধারনের সুফল বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম সাকিব জানান, আমার দায়িত্ব প্রাপ্ত এলাকায় সবকটি প্রকল্প শতভাগ কাজ হয়েছে যার সুফল ইতোমধ্যে লোকজন পাচ্ছে। কাজের গুনগত মান টিক রাখতে নির্দেশ থাকায় সব প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামিণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে দেশব্যাপি সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতি জোর দেওয়ায় গ্রামের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। মানুষের জীবনমান দিন দিন উন্নতি হওয়ায় বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ গ্রামিন উন্নয়নে বাংলাদেশের কার্যক্রম অনুসরণ করছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দূর্নীতির কারণে কাংখিত উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

আরও খবর