মৃত্যু ভয়ে শংকিত নয় রোহিঙ্গারা

উখিয়ায় ইয়াবা কারবারিদের দৌরাত্ম বেড়েছে আশংকাজনক

বিশেষ প্রতিবেদক :

বুধবার ২৬ জুন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন উখিয়া হাই স্কুল মাঠে বিশাল সমাবেশে মাদকের বিরুদ্ধে শপথ গ্রহনের ৩ দিনের মাথায় সীমান্তে পুলিশ বিজিবির সাথে বন্ধুক যুদ্ধে ৩ জন ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছে।

এ সময় ২জন বিজিবি সদস্য ও আইয়ুব নামে একজন ইয়াবা কারবারি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১টি আগ্নেঅস্ত্র, ১লক্ষ ১৫ হাজার ইয়াবা।

একই সময়ে পালংখালী নলবনিয়া গ্রামে ইয়াবা কারবারিদের আস্তানায় হানা দিলে ইয়াবা কারবারিরা বিজিবিকে লক্ষ করে গুলি বর্ষন করে।

এ ঘটনায় ৩৪ বিজিবির নায়েব সুবেদার মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে শনিবার সকালে র্শীষ ইয়াবা কারবারি নলবনিয়া গ্রামের মো: জালালের ছেলে লুৎফর রহমান প্রকাশ, ডাকাত লুতুজ্জসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের করেছে বলে উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক প্রভাত কুমার কর্মকার জানিয়েছেন।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহম্মদ বলেছেন, শুক্রবার ভোর রাত ৩ টার দিকে পালংখালী রহমতের বিল এলাকায় ৪/৫জন ইয়াবা কারবারিকে চ্যালেঞ্জ করলে রোহিঙ্গারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন করে। বিজিবিও আত্বরক্ষার্থে গুলি বর্ষন করলে কয়েকজন রোহিঙ্গা পালিয়ে গেলেও মো: নুর ২৭ নামের ১ রোহিঙ্গা গুলি বিদ্ধ হয়। তাকে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াবা কারবারি মো: নুরকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি ১টি এলজি, ২ রাউন্ট কার্তুজের খোসা, ১৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করনেন।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবা সকালে মিয়ানমার থেকে একটি বড় ধনের চালান এসেছে বলে নিশ্চিত হয়ে নলবনিয়া গ্রামের মো: বেলালের ছেলে লুৎফর রহমান লুতুজ্জার বাড়িত হানা দিলে ইয়াবা কারবারিরা জড়ো হয় বিজিবি উপর গুলিবর্ষন করে । বিজিবিও পালটা গুলি বর্ষন করলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ২জন বিজিবি সদস্য ও স্থানীয় ১টি শিশুসহ ২ জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। একই সময়ে টেকনাফ উপজেলার নীলা কাঞ্জরপাড়া নাফ নদীর কেউরা গাছের ভিতরে লুকিয়ে রাখা প্রায় ১লক্ষ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বলে টেকনাফ বিজিবির সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার সকালে উখিয়া হাই স্কুল মাঠে জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন ইয়াবা বানিজ্যেরসাথে জড়িত থাকলে জন প্রতিনিধিত্ব হাড়াবেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শুশীল সমাজের লোকজন ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

পালংখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ জন প্রতিনিধি ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। যে কারনে সীমান্ত দিয়ে দেদারছে ইয়াবা আসতে সক্ষম হচ্ছে। ইয়াবা সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের উৎসাহে উৎসাহিত হয়ে রোহিঙ্গারা মৃত্যুর সাথে আলীঙ্গন করে ইয়াবা পাচার করছে।

উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, গত ১ মাসে অভিযান চালিয়ে ৯০জন ইয়াবা বারবারিকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও খবর