পরিষদের সচিবকে ঘায়েল করতে সচিবের ভাইয়ের কু-কৃর্তী প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের বিরুদ্ধে। তার সংগৃহীত একটি ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ছাত্রীর সাথে ভিন্ন ভিন্ন পোজ দিয়েছেন। ছবি প্রচার হওয়ার পর থেকে চারদিকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ অবস্থায় ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মুজিবুল হক। তিনি ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ছোটভাই ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বড়ভাই।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে ২০১৩ সালে মিমাংসীত ঘটনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, মেয়েটি শিক্ষক মুজিবের শ্বাশুড় বাড়ির আত্মীয়। ২০১৩ সালে বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর মেয়ের অভিভাবক ও স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে এক সমযোতার মাধ্যমে সমস্যার সমধান করেছিলেন। এ ছবিটিও চেয়ারম্যানের কাছে ছিলো।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে শিক্ষক মুজিবের ভাই এরশাদুল হকের ( ইউনিয়ন পরিষদ সচিব) সাথে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্ধ হয়। বলতে পারেন চেয়ারম্যানের অপকর্মের দায়ভার না নেয়ায় মূলত এ দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ দ্বন্ধের জের ধরে নিজ স্বার্থে ছবিটি প্রকাশ করেছেন চেয়ারম্যান। তারপরও আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের কমিটির এক সভার আহবান করা হয়েছে। বাকিটা সভার পরে বলা যাবে।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, এ শিক্ষক মুজিব একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। গত ৫ বছরে দশটি ঘটনা ঘটিয়েছে সে শিক্ষক। আর তার অপরাধ আড়াল করতে মূখ্য ভূমিকা রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারভাই হামিদুল হক।
এ ধরনের ঘটনা সমাধান করা সম্ভব নই দাবি করে তিনি বলেন, সচিবের সাথে যে দ্বন্ধ তা ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেয়েটি বর্তমানে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত রয়েছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবিটি এতদিন পর প্রচার হওয়ার পেছনে নিশ্চয় কেউ না কেউ জড়িত রয়েছে। শিক্ষক মুজিবের এক ছেলে কক্সবাজার সিটি কলেজে ও এক মেয়ে দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত আছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মুজিবুল হকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, শিক্ষকের অপকর্মের বিষয়ে একটি অভিযোগ আমার কাছে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে।
সূত্র : আলোকিত কক্সবাজার
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-