খুরুশকুলে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে চিহ্নিত সন্ত্রাস বাহিনী নানা অপরাধে বেপরোয়া হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনটি তারা প্রতিনিয়তেই অস্ত্র নিয়ে ঘুরাঘুরি করে এলাকায়। তাদের নেতৃত্বেই এলাকায় হচ্ছে এলাকায় নানা অপর্কম। উক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাস বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কের রয়েছে এলাকার নিরহ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।

গত ২১ জুন খুরুশকুল টাইমবাজার উত্তর মাথাস্থ এলাকায় জিয়াউল হক সিকদারের অফিস ভাংচুর, হামলা ও গুলি বর্ষণ করেছে ওই সব চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে তার বড়ভাই সোলায়মান বাদশা বাদি হয়ে সন্ত্রাসী মো. আলমকে প্রধান আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়। যার মামলা নং-৮৬/১৯। এদিকে মামলার আসামীরা এখানো প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানায়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামী হলেন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও পেশাদার ছিনতাইকারী। তারা এলাকায় কাউকে পরোয়া করে না। তাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক মামলাও রয়েছে।

উক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হলো খুরুশকুল মেহেদী পাড়া এলাকার আনর আলীর ছেলে মো. আলম (৩২), রমজান আলীর ছেলে মো. ঈসমাইল (২৮), মো. বদির ছেলে মো. আকবর (২৫), আনর আলীর ছেলে বদি আলম বদি (২৯), মো. আলমের ছেলে মো. রাসেল (২৪), সিরাজুল হকের ছেলে মো. মিজান (২৪), মৃত সুলতানের ছেলে মিজান (২৮), আনোয়ার হোসেন এর ছেলে মীর কাশেম (৩০) তার পালক পিতা আবুল কালাম ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. খোকা (১৯) সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ চিহ্নিত সন্ত্রাসী।

টাইমবাজার উত্তর মাথাস্থ ডিস ক্যাবল ব্যবসার অফিসের সামনে এসে জিয়াবুল সিকদারের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে শক্তি মহড়া প্রদর্শন পূর্বক হত্যা করার উদ্দেশ্যে খোঁজ খবর নেয়।

পরে অফিসে কাউকে না পেয়ে অবৈধ অস্ত্র, ধারালো কিরিচ, রাম দা ও হাতুড়ি নিয়ে তার ডিস ক্যাবল ব্যবসার অফিসে হামলা ও ভাংচুর করে। তখন সন্ত্রাসী ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে জনেমনে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ত্রাস সৃষ্টি করে। এ সময় অফিসের ক্যাশে থাকা নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩০০ টাকা মূল্যের ০৩ ফর্দ ননজুডিসিয়াল খালী ষ্ট্যাম্প লুট করে নিয়ে যায়। অফিস ভাংচুরে আনুমানিক ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। ওই সময় খুরুশকুলের একমাত্র সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়। ওই সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানাকে অবগত করিলে টহলরত পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দীন খন্দকার জানান, এজাহারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামীকে ধরার জন্য পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর