বার্তা পরিবেশক :
বড় মহেশখালীর চিহ্নিত প্রতারক সন্ত্রাসী এবং বহু মামলার আসামী ফরিদুল আলম কর্তৃক সাংবাদিক সম্মেলনে মহেশখালী উপজেলা তথা কক্সবাজারের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সর্বজন শ্রদ্ধেয় আনোয়ার পাশা চেীধুরীর বিষয়ে চরম মিথ্যাচার করার খবরে ফুসে উঠেছে মহেশখালীর সর্বস্থরের জনগন।
বিশেষ করে মোস্তফা কামালের পরিবার সহ ফরিদের হাতে চরম নির্যাতিত অসংখ্যা মানুষ গতকাল কক্সবাজারে এসে সাংবাদিকদের তাদের তথ্য উপাত্থ সহ প্রতারক ফরিদের বহু কু-কৃত্বির কথা তুলে ধরেন। এ সময় মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চেীধুরীর বড় ভাই মৌলবী মোস্তফা কামালে বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন,আমার ছোট বোনের স্বামী ফরিদের সিমাহীন অন্যায় অত্যাচারে আমরা পুরু পরিবার অতিষ্ট। আমার বাবা মা র মৃত্যু র একসপ্তাহ না যেতেই ফরিদ গংরা মিলে পুরু সহায় সম্পত্তি আত্বসাৎ করতে মরিয়া হয়ে উঠে। তারি প্রেক্ষিতে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ফরিদ সহ আরো কয়েকজন আমার বাবার বাড়িতে ঢুকে ছোটা ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধর করে ঘরে থেকে বের করে দেয়,এবং সম্পত্তির কথা বলে কাঁথা বালিশ থেকে শুরু করে হান্ডি,ডেক্সি এমনকি মুরগীর খাচাঁ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। এই অত্যাচার আমরা সইতে না পেরে আমাদের চাচা আনোয়ার পাশা চৌধুরীকে জানালে তিনি আমাদের পক্ষে ন্যায় বিচারের স্বার্থে কথা বলায় উনাকে এবং উনার পুত্রদ্বয়কে বর্তমানে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে কুৎসা রটনা করছে ফরিদ। আমাদের কোন সম্পত্তি চাচা আত্বসাৎ করেনি বরং বাবা জীবিত থাকতেই ফরিদ আমাদের অনেক সহায় সম্পদ আত্বসাৎ করেছে।
মোস্তফা কামালের ছেলে আবছার কামাল বলেন, মূলত প্রতারক এবং সন্ত্রাসী ফরিদ সব সময় আমাদের সহায় সম্পত্তি নামে বেনামে ভোট দখল করেছে। সে সর্বমোট ২৫ কানি আমাদের সম্পত্তি লাগিয়েছে। আর আমার বাবার সম্পত্তির বিষয়ে আমাদের মধ্যে শরিয়তমতে সুন্দর ভাবে ভাগ ভাটোয়ারা হয়েছে। শুধু সন্ত্রাসী ফরিদই মানেনি।
আমার বাবা বেচেঁ থাকতে সে ১১ কানির মত জমি নিয়ে নিয়েছিল। বাবার মৃত্যুর কিছুদিন পরই ফরিদসহ ৪ বোন মিলে বন্দুক নিয়ে এসে আমাদের মারধর করেছে। বর্তমানে কিছুদিন আগে ও আমার এক আত্বীয় মারা যাওয়ায় সেখানে গিয়েছিলাম সেখানে ফরিদের ছেলে রিয়াদ আমাকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি দিয়েছে।
মূলত ফরিদ মানুষ হয়েছে আমার চাচা আনোয়ার পাশা চৌধুরীর নাম ব্যবহার করে কিন্তু বর্তমানে চাচা আমাদের পক্ষে ন্যায় সংগত কথা বলায় চাচা এবং চাচত ভাইদের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।
মোস্তফা কামালের আরেক ছেলে আনচার কামাল বলেন,একদম শুরু থেকে ফরিদ জঘন্য প্রতারক টাইপের মানুষ ছিল। সে আমার মায়ের চিকিৎসার প্রায় ৫ লাখ টাকা আত্বসাৎ করেছিল। এবং আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমার মাকে ৩ দিন বিনা চিকিৎসায় রেখে দিয়েছে। মূলত সে কারনেই আমার মা মৃত্যু বরণ করেছে। সেই টাকা আমরা চাইলে ঢাকাতে ফরিদের ছেলে হুসনে মোবারক আমার ছেলেকে অপহরণ করবে বলে আমার স্ত্রী সেতেরা বেগমকে হুমকী দিয়েছে। পরে আমার মায়ের চিকিৎসার পুরু ফাইল লুকিয়ে ফেলেছিল। পরে রাতে আমাদের বাড়ি ভিটা দখল করতে আসলে মুরব্বী হিসাবে আমার চাচা আনোয়ার পাশা চৌধুরী কে জানালে তিনি সঠিক কথা বলায় এখন তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
সেতেরা বেগম বলেণ,সবাই পিতার ত্যায্য সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যমত সম্পত্তির ভাগ পেয়েছে। মুলত লোভী ফরিদের পেট কেউ ভরাতে পারে না। এক সময় ফরিদের নেতৃত্বে ৪ বোন এসে আমাকে মারধর করে,সম্পত্তির কথা বলে মুরগীর বাসা পর্যন্ত এমনকি খাবার পেল্টেই পর্যন্ত নিয়ে গেছে। পরে চাচীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে।
মোস্তফা কামালের বড় ছেলের স্ত্রী হাসিনা আকতার বলেণ,আমি কক্সবাজার শহরে বসাবাস করি,কিন্তু এঁটা সঠিক সব সমস্যার মুলে হচ্ছে ডাকাত ফরিদ।
এদিকে সম্প্রতী ফরিদের ছেলেরা রিয়াদ,রিসাদ এবং হুসনে মোবারক প্রায় সময় মোবাইলে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে মোস্তফা কামালের পরিবারের সদস্যদের।
এ সময় বড় মহেশখালীল পূর্ব মাহারা পাড়ার মৃত হাজী ছৈয়দ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শরীফ বলেন,আমরা জমির প্রকৃত মালিক থেকে কিনে ৩৫ বছর ধরে ইলিশ্যাঘোনার ৪ কানি জমি ভোগ দখল করেআসছি। হঠাৎ করে মহেশখালী নব্য ফেরাউন সন্ত্রাসী ফরিদ তার সন্ত্রাসী বাহিনি নিয়ে সেই জমি দখল করে নেয়। পরে আমরা থানা পুলিশ থেকে শুরু করে সর্ব মহলে ধর্না দিয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে সেই জমি একই বছর তার কাছ থেকে ক্রয় করি। ৯ লাখ টাকা দিয়ে তার সৃজিত খতিয়ান মতে ১.৬৯ শতক জমি নামজারী করতে গিয়ে দেখি সব কিছু ভুয়া তার তৈরি করা সৃজিত খতিয়ান থেকে শুরু করে দলিল পর্যন্ত জাল জালিয়াত করে সৃজন করা। মূলত আসল দলিলে জমি ছিল ,৭৯ শতক কিন্তু প্রতারক ফরিদ সেই একই দলিলকে জাল করে ১.৭৯ শতক করে আমাদের জমি বিক্রি করেছে।
এছাড়া ফরিদ তার হিস্যা যে জমি পাবে অনেক আগেই বিক্রি করে দিয়েছে সে আমাদের যে জমি দিয়েছে সেটা তার ভাই আবদু রহমানে জমি, এখন আবদু রহমানের ছেলেরা সেই জমি আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। এর মধ্যে আবার তার ভাই থেকে জমি নিয়ে দেবে বলে ৭ লাখ টাকার চুক্তিনামা করে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখনো জমি রেজিস্ট্রে দেয় নি। বরং এখন আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। তিনি বলেন ফরিদের মত বেঈমান প্রতারক লোক মহেশখালীতে আর দ্বিতীয়টি আছে কিনা সন্দেহ।
হোয়ানক কালাগাজী পাড়ার মৌলানা আবদুল গফুরের ছেলে এবং ফকিরাঘোনা নুরুল উলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মৌলানা মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেণ, আমার মেয়ের জামাতা সৌদি আরবে থাকে, সে একটি ঘর করার জন্য জমি কিনার আগ্রহ প্রকাশ করলে ১০/৩/২০১৮ সালে ফরিদ থেকে ৩০ কড়া জমির জন্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা মূল্য ধার্য করে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে বায়না নামা করি। এর পরে দীর্ঘ দিন সে জমি রেজিস্ট্রি না দেওয়ার পরে আবার ডিসির অনুমোদনের কথা বলে আরো ১০ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ভাবে খরচের কথা বলে অন্তত আরো ২০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু এখনো জমি রেজিস্ট্রি দেয় নি। টাকাও ফেরত দেয়নি। এর মধ্যে আমার জামাতা মেয়েকে টাকার জন্য শশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, বর্তমানে সে এক কন্যা সন্তান নিয়ে আমার বাড়িতে থাকে। আমি একজন আলেম মানুষ আমি হাতে পায়ে ধরেও ফরিদের মন গলাতে পারিনি কথা গুলো বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ বিষয়ে একটি মামলা করেছি যার নাম্বার ২৬/১৯। এ সময় একই মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু তাহের বলেন,ফরিদ মৌলবী জিয়াউল হক ছাড়াও বহু মানুষের কাছ থেকে সন্ত্রাসী ও প্রতারনা করে জমি দখল করেছে।
এ সময় মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আ,স.ম ছিদ্দিক বলেন,সন্ত্রাসী,প্রতারক ফরিদ তার নিজস্ব বাহিনি দিয়ে আমার (নোয়াঘোনা এবং আমতলীর) ২০ কানি জমি ১০ বছর যাবত জোর পূর্বক আত্বসাৎ করছে। সে আমার অন্তত ১ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এ বিষয়ে থানা পুলিশে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাইনি। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,উপজেলা চেয়ারম্যান, সহ সবাই অবগত আছেন। মুলত সে নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার করছে।
ফকিরাঘোনার হাজী কবির আহাম্মদের ছেলে আবদুল মোতালেব বলেন, সন্ত্রাসী ফরিদ ১১ বছর ধরে ধাইরগ্যা ঘোনা,পাচঁআইন্য ঘোনা জবর দখল করে ভোগকরছে। এ বিষয়ে জিআর ১৪২/১৯ মামলা আছে তবুও সে বন্দুক নিয়ে বীর দর্পে ঘোনা দখলে রেখেছে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সেকান্দার বাদশার ছেলে এনামুল করিম বলেণ, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর ফরিদ সহ তার লালিত সন্ত্রাসী আজিজুল হক(কালাসোনা)জিয়াউর রহমান,মহিবুল্লাহ প্রকাশ কালু,কালা মনু,মোজাম্মেল উভয় পিতা মৃত ইউনুচ,হাশেম পিতা মৃত ছিদ্দিক মিলে কয়েকশত রাউন্ড গুলি করে আমার ঘোনা দখল করে, আমি ১৪ দিন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কোন মতে জীবনে রক্ষা পায়। এর পর আমার কাছ থেকে আবারো চাঁদা দাবী করে না দিলে ৩/৩/২০১৯ নোয়াঘোনার ৪০ কানি লবণ মাঠের পলিথিন কেটে নিয়ে যায়। এতে আমার ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এর রকম শত শত অভিযোগ ফকিরাঘোনার প্রতারক ফরিদের বিরুদ্ধে। এ সময় মৌলবী মোস্তফা কামালে পরিবার সহ অনেকের অভিযোগ মুলত নিজের অপকর্ম ঢাকতে ফরিদ জেলার বরণ্য রাজনীতিবিদ আনোয়ার পাশা চৌধুরী সহ তার পুত্রদ্বয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অভিযোগ করছে। সে যে সব বিষয়ে সেখানে বলেছে তা বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই। তার প্রমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মোস্তফা কামালের মেয়ে জাহিদুল মোস্তফা জারিয়া বলেণ, ফরিদ আমাকে মিথ্যা কথা বলে সংবাদ সম্মেলনে এনেছে। আমাকে বলেছে আমার চাচা সহ একটি বৈঠক হবে,সেখানে সিরাজুল মোস্তফা সহ অনেকে থাকবে।আমি আসলে সেই বৈঠকে এসেছিলাম।
কিন্তু সেখানে আমার সম্মানীত চাচার বিরুদ্ধে কথা হবে সেটা আমি জানতাম না। আর আমার চাচা আনোয়ার পাশা চৌধুরীরর বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই।
এদিকে দ্রুত সন্ত্রাসী বহু মামলার আসামী,চাঁদাবাজ, অস্তধারী ফরিদুল আলমকে গ্রেফতারের দাবী জানান মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-