বিশেষ প্রতিবেদক :
উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত র্যালি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রোহিঙ্গারা। বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে এই বিক্ষোভ চলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে যোগদান করেন। এ সময় একদল রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
র্যালিটি মধুরছড়া ক্যাম্প থেকে কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে আসার পথে ‘আমরা শরণার্থী জীবনযাপন করতে চাই না, আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে একদল রোহিঙ্গা।
এ সময় র্যালিটি আটকে দেয় তারা। প্রায় আধা-ঘণ্টা পর রোহিঙ্গাদের শান্ত করতে সক্ষম হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে, বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ।বৃহস্পতিবার দুপুরে উখিয়ার কুতুপালংয়ে পৌঁছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের আঁকা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি।
রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে রোহিঙ্গা ফাতেমা খাতুন বলেন, আল্লাহ যেন পৃথিবীর আর কাউকে আমার মত শরণার্থী জীবন না দেন, কারণ শরণার্থী জীবন অভিশপ্ত জীবন বলে মনে হচ্ছে।
র্যালি শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব সময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বেচ্চামুলক, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ হতে হবে। এটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শর্ত। তাহলে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বসবাস শান্তিপূর্ণ হবে।
এ সময় ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশের প্রধান স্টিফেন করলিস, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামসহ সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-