মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই

অনলাইন ডেস্ক :

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ  ওষুধের বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ওষুধের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকতেই পারে। তবে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রোগীর কাছে যাচ্ছে কিনা সেটাই উদ্বেগের বিষয়। 

গতকাল নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীর ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রয়েছে। এ সংবাদটি সম্প্রতি গণমাধ্যমে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।

পাপন বলেন, এখন দেশে ২৩০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফার্মাসিউটিক্যালস আছে। এর মধ্যে ১৬০টির মত কোম্পানি বাজারে আছে। আর বড়জোর ৩০ থেকে ৪০টি কোম্পানির ওষুধ বাজারে ভালভাবে চলে।

বাকীদের ওষুধ অপ্রচলিত। তিনি বলেন, একেকটি কোম্পানির ৬০০ থেকে ৭০০ রকমের ওষুধ আছে। এসবের মধ্যে কিছু আছে বেশি বিক্রি হয় আর কিছু খুবই কম বিক্রি হয়। যেসব ওষুধ কম বিক্রি হয় সেগুলো একসময় মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। তবে সব কোম্পানির ব্যবসায়িক নীতি অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিপরীতে অন্য ওষুধ দেয় কিংবা টাকা ফেরত দেয়। তবে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রোগীর কাছে যাচ্ছে কিনা সেটাই বড় বিষয়। যদি যেয়ে থাকে তবে সেটি খুবই উদ্বেগের বিষয় হবে বলে মনে করেন তিনি।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, যেহেতু সব কোম্পানি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত নেয়। তাই ফার্মেসি মালিকরা এ ধরনের ওষুধ বিক্রি করার কোন কারণ নেই। বিষয়টি আগে কখনো না আসায় ওষুধ শিল্প সমিতি থেকে এ বিষয়ে কোন ধরনের পদক্ষেপও এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কোম্পানিগুলো ধ্বংস করে ফেলে বলেও জানান পাপন। 
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন মোট চাহিদার ৯৫ থেকে ৯৭ ভাগ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়। পৃথিবীর আর কোন দেশে স্থানীয়ভাবে এত বেশি ওষুধ উৎপাদন হয় না।