বিশেষ প্রতিবেদক :
বর্তমান সরকার বয়োবৃদ্ধ নারী পুরুষদের স্বাচ্ছন্দে জীবন অতিবাহিত করার জন্য বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদান করে একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ গ্রহন করলেও মাঠ পর্যায়ে এসে তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ভাতা নিতে আসা বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি নারী পুরুষ সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ব্যাংকের সামনে মাটিতে বসে টাকার জন্য অপেক্ষা করলেও অনেকের ভাগ্যে তা জুটেনি। ফলে নিরাশ হয়ে এসব প্রতিবন্ধি ও অসস্বচ্ছল বয়োবৃদ্ধদের বাড়ী ফিরে যেতে হচ্ছে।
বুধবার সকাল ১১ টায় কৃষি ব্যাংক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শতশত বয়োবৃদ্ধ নারী পুরুষের ভীড়। তারা কেউ মাটিতে, কেউ বারান্দার ছাদে, অনেকেই ব্যাংকের সামনে প্রচন্ড রুদ্র মাথায় নিয়ে টাকার জন্য অপেক্ষা করতেছে। এসময় সাংবাদিক দেখে বয়োবৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধির সাথে আসা রাজাপালংয়ের সেলিম, পালংখালীর আশরাফ আলীসহ একাধিক লোকজন জানান, তারা দুই দিন ধরে ব্যাংকে আসছে সকাল থেকে। টাকা না পেয়ে আবার সন্ধায় ফিরে যেতে হয়েছে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংকের দ্বীতিয় কর্মকর্তা প্রভাত বড়–য়া তড়িগড়ি করে ভাতা প্রাপ্তিদের নিকট থেকে বই নেওয়া শুরু করলেন। এবং অন্যান্য কর্মচারীদের তড়িগড়ি ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিতে লাগলেন। মনে হচ্ছিল যেন একটি শর্ট ফ্লিমের অডিশন মাত্র।
এসময় ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মুটোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে ব্যাংক ম্যানেজার রফিক উদ্দিন বলেন, তিনি ব্যাংকের কাজে সোনার পাড়া এলাকায় রয়েছেন। বয়োবৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধিদের প্রচন্ড গরমে মানষিক বিপর্যস্ত অবস্থায় রেখে আপনার বাহিরে যাওয়াটা ঠিক হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাংক ম্যানেজার জানালেন, আজ বুধবারের মধ্যে ভাতা প্রদানের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রাজাপালং ইউনিয়নের ১১শত ৩৪জন প্রতিবন্ধি নারী পুরুষ প্রতি মাসে ২৯০ টাকা করে ৬ মাসে ৪ হাজার ২শত টাকা ও পালংখালী ইউনিয়নের ৮শত ২১জন বয়স্ক প্রতি মাসে ১৪৮ টাকা করে ৬ মাসে ৩ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-